Categories
ভাষাপুকুর |

তান য়ুন শান

663 |
Share
| ১৬ জুলাই, ২০২১
শ্যামলী আচার্য

গল্পকার ও বেতার উপস্থাপক

তান য়ুন শান-এর চিত্র। সৌজন্য: আনন্দবাজার পত্রিকা ও sesquicentinnial.blogspot.com

বিংশ শতাব্দীর প্রথম প্রহরে বিশ্বপ্রকৃতির উদার প্রাঙ্গণে ছেলেদের মুক্তি দেবার জন্য রবীন্দ্রনাথ তৈরি করলেন শান্তিনিকেতন-বিদ্যালয়।

শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী বয়ে নিয়ে চলেছে রবীন্দ্রনাথের সারা জীবনের কর্মসাধনার পরিচয়। এই সাধনা তাঁর মতে, মনুষ্যত্বসাধনা। এই সাধনায় যাঁরা স্থপতি, এই সহযোগীর দল, এঁরা আশ্রমের সৃষ্টিকার্যে নিজেদের সর্বতোভাবে উৎসর্গ করেছিলেন। এই সঙ্গী কর্মী এবং বন্ধুদের কথাই ধরা রয়েছে ‘শান্তিনিকেতনের গোড়ার কথা’য়।

আজ তান য়ুন শানের কথা।

১৯২৭ সালের জুলাই মাস। রবীন্দ্রনাথ পৌঁছেছেন মালয়-জাভা-বালিদ্বীপ। বৃহত্তর ভারতবর্ষের খোঁজ চলছে তাঁর। সেখানে তাঁর সাক্ষাৎ ছাব্বিশ বছর বয়সী এক উজ্জ্বল, সপ্রতিভ আশ্চর্য যুবকের সঙ্গে। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের বিবরণ দিয়ে লিখছেন, ‘When I saw Gurudeva, I immediately felt in him the real representative and symbol of “Tien Tu” or “Heavenly India”.’ রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাছে জানতে পারেন, সিঙ্গাপুরে বসবাস করার সময় তিনি রবীন্দ্রনাথের চীন ভ্রমণের বিস্তারিত বিবরণ খবরের কাগজে পড়েছেন। চীনের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবির এ পর্যন্ত প্রকাশিত যাবতীয় প্রবন্ধ, ভাষণ, সবই মনোযোগ সহকারে সযত্নে অনুধাবন করেছেন। তাঁর ভারত দর্শনের বাসনা, শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রসঙ্গে কৌতূহল উপলব্ধি করে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে আমন্ত্রণ করেন বিশ্বভারতীতে। তিনি সানন্দে চীনা ভাষা ও সাহিত্য অধ্যাপনার দায়িত্ব নিলেন বিশ্বভারতীতে।

রবীন্দ্রনাথের এই বিদেশি সখার নাম তান য়ুন শান।

চিনের হুনান প্রদেশের ওয়েং চিয়ান হিসান শহরে তাঁর জন্ম ১৯০১ সালের ১০ অক্টোবর। জন্মের বছরটি নিয়ে তাঁর গর্বের অন্ত ছিল না। আগ্রহী পাঠকমাত্রেই জানেন, এই ১৯০১ সালেই শান্তিনিকেতন আশ্রম-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন রবীন্দ্রনাথ। আশ্রমিক সংঘের অর্ঘ্যদান অনুষ্ঠানে প্রতিভাষণে তানসাহেব বলেছিলেন, ‘জন্মসূত্রে আমি যেন শান্তিনিকেতনের সঙ্গে বাঁধা পড়ে গেছি, আমার জন্মমুহূর্তেই যেন স্থির হয়ে গেছে গুরুদেব ও বিশ্বভারতীর সেবায় আমাকে জীবন উৎসর্গ করতে হবে।’ ছাত্রজীবনে ছিলেন মাও সে তুং-এর সহপাঠী। সিঙ্গাপুরে চীনা ভাষার অধ্যাপনার সঙ্গেই ‘লাইট অব সিঙ্গাপুর’ নামের একটি প্রধান পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকায় চীনা ও ইংরেজি ভাষায় তিনি প্রবন্ধ ও কবিতা লিখতেন। ধর্মমতে বৌদ্ধ হলেও কনফুশিয়াস-এর দর্শন ছিল তাঁর আদর্শ। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে থেকেই ভারত ও চীনের সাংস্কৃতিক সংযোগ গড়ে তুলতে আগ্রহী ও সচেষ্ট ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ অবিলম্বে সেই সেতুবন্ধন গড়ে দিল। একই আদর্শে বিশ্বাসী দুই কর্মযোগীর ঘটল সম্মিলন।

বিশ্বভারতীর প্রধান লক্ষ্য যদি একটা নীড়ে বহু বৈচিত্র্যকে আশ্রয় দেওয়া হয়, তবে এই বিশ্বনীড়ে ‘চীনা-ভবন’ হল একটি বিশেষ উপাদান। এবার সেই প্রসঙ্গেই আসি।

১৯২৮ সাল থেকে আক্ষরিক অর্থেই নিজের জীবনের বাকি সময় তিনি কাটিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। এই প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে শান্তিনিকেতনে চীনা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা শুরু হয় ১৯২১ সালে। পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে এই চর্চার শুভ সূচনা করেছিলেন সিলভ্যাঁ লেভি। ১৯২৫ সাল নাগাদ বিশ্বভারতীতে চীনা ভাষা শেখাতেন ইতালীয় অধ্যাপক জোসেফ তুচ্চি ও চীনা অধ্যাপক ডোলিম। এর পরেই রবীন্দ্রনাথের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯২৮ সালের তেসরা সেপ্টেম্বর তান য়ুন শান আসেন জোড়াসাঁকো। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ তাঁকে নিয়ে যান কবির কাছে। কবির নির্দেশে সেই রাত্রেই তানসাহেব রওনা হলেন শান্তিনিকেতনের পথে। সঙ্গী হলেন পাঠভবনের তখনকার অধ্যক্ষ সত্যজীবন পাল।

প্রায় মধ্যরাতে শান্তিনিকেতনে পৌঁছলেন তানসাহেব। মহর্ষির স্মৃতিবিজড়িত ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ির দোতলার খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। অপার্থিব এক জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চারিদিক। সে এক অলৌকিক অপরূপ সৌন্দর্য। তখনকার অনুভূতি এবং মনের আবেগ তানসাহেব প্রকাশ করলেন এক কবিতায়; সে কবিতার নাম ‘আমার প্রথম শান্তিনিকেতন দর্শন’। পরবর্তী কালে ক্যানটনের ইয়ুথ বুক শপ থেকে তানসাহেবের একগুচ্ছ কবিতার সংকলন প্রকাশিত হয়; সেই সংকলনটির নাম ‘দি ইন্ডিয়ান ওশন’।

পরদিন সকালে সর্বপ্রথমে পরিচয় হল ক্ষিতিমোহন সেন এবং বিধুশেখর শাস্ত্রীর সঙ্গে। একে একে তিনি পরিচিত হলেন সি এফ এণ্ড্রুজ, নন্দলাল বসু, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সন্ধ্যায় নবাগত চীনা অধ্যাপককে স্বাগত জানিয়েছেন আশ্রমিকরা।

তানসাহেবের কাছে চীনা ভাষা শিখতেন ফরাসী অধ্যাপক বেনোয়া এবং রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার। তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক কলিন্স তাঁর কাছে চীনা ক্লাসিকসের পাঠ নিতেন। তানসাহেব নিজেও ছিলেন সংস্কৃতভাষার শিক্ষার্থী। তিনি সংস্কৃত শিখতেন ক্ষিতিমোহন সেনের কাছে। টানা দু’বছর ধরে ভারতীয় দর্শন, সংস্কৃতি, সমাজ, জাতীয় আন্দোলন প্রভৃতি নানান বিষয়ে প্রবন্ধ লেখেন চীনের প্রথম সারির পত্রপত্রিকায়। বিশেষ করে সাংহাইয়ের ‘ইস্টার্ন ম্যাগাজিন’-এ তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীকালে ইংরেজি ভাষায় মডার্ন চাইনিজ হিস্ট্রি, মডার্ন চায়না, চায়না ইন্ডিয়া অ্যাণ্ড দ্য ওয়ার প্রভৃতি বই রচনা করেছেন। চীনাভাষায় চাইনিজ ফিলজফির তো প্রচুর বইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই মানুষটির নাম।

বিশ্বভারতীতে তিন বছর অধ্যাপনার পর, কবির আশীর্বাদ ও শুভকামনা নিয়ে অধ্যাপক তান ১৯৩১ সালে আবার চীনে ফিরে যান। ১৯৩৩ সালে চীনের নানকিনে ‘তান সাহেব’ প্রতিষ্ঠা করলেন ‘সিনো-ইন্ডিয়ান কালচারাল সোসাইটি’ বা ‘চীন-ভারত সংস্কৃতি সমিতি’। ভারতবর্ষে এই সমিতির সভাপতি হলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এই সমিতির কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধান ও প্রথম কাজ ছিল চীনভবন প্রতিষ্ঠার কর্মকাণ্ডকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ত্বরান্বিত করা। শান্তিনিকেতনে চীন-ভারত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য তিনি তাঁর দেশবাসীকে উধবুদ্ধ করেন। ১৯৩৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে এখানেও একইরকম একটি পরিষদ গড়ে তোলেন। পরিষদের লক্ষ্য হল গুরুদেবের আদর্শ অনুসরণে শান্তিনিকেতনে ‘চীন-ভবন’ প্রতিষ্ঠা করা। চীনের জনসাধারণের সহায়তা প্রার্থনা করে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এক আবেদন জানালেন। তিনি লিখলেন, ‘চীন-ভারত সংস্কৃতি পরিষদকে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি আমার চীনদেশীয় বন্ধুরা পরিষদের উদ্যোগকে সহৃদয় অভিনন্দন জানাবেন এবং দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার উদ্দেশে যে পরিকল্পনা রচিত হয়েছে তাকে বাস্তবরূপ দেবার কাজে অধ্যাপক তান য়ুন শানকে উদারভাবে সহায়তা করবেন।’

রবীন্দ্রনাথের আবেদন নিয়ে তানসাহেব ১৯৩৪ সালে আবার চীন যাত্রা করেন। চীন ভবনের জন্য প্রচুর বই অর্থ এমনকি আসবাবপত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্য সফল হয়। সে দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবী, এমনকী রাষ্ট্রপ্রধানেরও সহযোগিতা ও আন্তরিক সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জোগাড় করেছেন অসংখ্য চীনা বই। চীনের সিনো-ইন্ডিয়ান কালচারাল সোসাইটি এক লক্ষ টাকার বই কিনে, উপহার হিসেবে তা তুলে দেন তানের হাতে। এ ছাড়াও তাঁর অন্যান্য বন্ধু ও প্রকাশকরা প্রায় হাজার পঞ্চাশ চিনা বই উপহার দেন। এর মধ্যে ছিল চৈনিক বৌদ্ধমত, চৈনিক ধ্রুপদী সাহিত্য ছাড়াও ইতিহাস, শিল্পকলা ও দর্শনের বই। চীনা, তিব্বতি ও সংস্কৃত— এই তিন ভাষায় লেখা ধ্রুপদী সাহিত্য সংগ্রহ, বিশেষ করে ত্রিপিটক থেকে অনুবাদ ও টীকার কাজে তানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। চীনা ত্রিপিটকের বিভিন্ন সংস্করণ নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সংগ্রহ করে এনেছিলেন কাঠের হরফ জাইলোগ্রাফে ছাপা তিব্বতি ত্রিপিটক। ১৯২২ সালে হাবদুন নামে চিনের এক ধনী ইহুদি বণিক চিনা ভাষায় অনূদিত সমগ্র ত্রিপিটক বিশ্বভারতীকে উপহার দিয়েছিলেন। পরে এর চব্বিশটি রাজবংশের বিপুল গ্রন্থসমূহ এখানে সংগৃহীত হয়। তান-য়ুন শান চীনা ভবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ ও দুষ্প্রাপ্য বৌদ্ধ গ্রন্থের সম্পাদনা ও অনুবাদের কাজ সুসম্পন্ন করেছিলেন। নিজেও উদ্ধার করেছেন বহু মূল্যবান নথিপত্র, যার মূল্য অপরিসীম।

১৯৩৭ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন শান্তিনিকেতনে চীনাভবন উদ্বোধন হল। এই পুণ্যদিনে রবীন্দ্রনাথ প্রথমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধীকে। জরুরি কাজে উপস্থিত না থাকতে পারায় গান্ধীজী তাঁর অক্ষমতা জানান। তারপর স্থির হয় জাতীয় কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি জওহরলাল নেহরু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করবেন। কিন্তু তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর লিখিত ভাষণসহ কন্যা ইন্দিরাকে প্রতিনিধি করে পাঠান শান্তিনিকেতনে।
বৌদ্ধ স্থাপত্যশৈলী চৈত্যের অনুকরণে চীনভবনটি নির্মিত। আশ্রম-সচিব ও শিল্পী সুরেন্দ্রনাথ কর ছাড়াও এই ভবনের নির্মাণের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন নন্দলাল বসু, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়, রামকিঙ্কর বেঁজ, বিনায়ক মাসোজী এবং কলাভবনের ছাত্রছাত্রীরা। কলা ভবনের ছাত্রছাত্রীরা নন্দলাল বসুর নেতৃত্বে চীনা ভবনের স্থাপত্য, দেওয়ালচিত্র অর্থাৎ ফ্রেস্কো গড়ে তুলেছিলেন। রানী চন্দ লিখেছেন, ‘চীনভবনের বাগানে রাশি রাশি ফুল ফুটল। ঘরে ঘরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর বস্ত্রের উজ্জ্বল কমলা রঙে আলো ঝলমল করে উঠল। চীনে পণ্ডিত, চীনে শিল্পী, ছাত্র-শিক্ষকে বাড়ি ভরে গেল।’

১৯৩৭ থেকে ১৯৬৭— অধ্যাপক তান ছিলেন চীনভবনের কর্ণধার। চীনভবনে এসেছেন চীনা ছাত্ররা। তাঁরা সংস্কৃত, দর্শন, ইতিহাস, ধর্ম আর ভারততত্ত্ব সম্পর্কে বাড়িয়েছেন তাঁদের জ্ঞানের পরিধি। ভারত ও চীন ছাড়াও ছাত্র-অধ্যাপক যোগ দিয়েছেন আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা থেকে। চীনভবনের গ্রন্থাগারটি ছিল সমগ্র ভারতের এক অমূল্য সম্পদ। লক্ষাধিক চীনা বই ও পুঁথি রয়েছে এই লাইব্রেরিতে।

অধ্যাপক তানের বিরাট কর্মজীবন কেটেছে শান্তিনিকেতনে, ভারতবর্ষ হয়ে উঠেছে তাঁর দ্বিতীয় জন্মভূমি। প্রথমে একাই এসেছিলেন; পরে স্ত্রী এবং দুটি ছেলেমেয়েকেও নিয়ে আসেন। তাঁর প্রথমা কন্যা তান-ওয়েন বিশ্বভারতীতে বাংলা বিভাগে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। পরে তিনি যোগ দেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপিকা হিসেবে। তানসাহেবের শেষ তিন সন্তানের নামেও বাঙালিয়ানা; তাদের নাম তান-চামেলি, তান-অর্জুন ও তান-অজিত। চামেলির নামকরণ করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ; আশ্রমের মাটিতে এই প্রথম চীনে-কন্যার জন্ম। অপূর্ব ছবি আঁকতেন চামেলি। কলাভবনে বিনোদবিহারী ও রামকিঙ্করের প্রিয় ছাত্রী তিনি; বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলেন কলাভবনেরই ছাত্র এ রামচন্দ্রনের সঙ্গে।

চীনের সমাজতান্ত্রিক সরকার তান-এর বাড়ি অধিগ্রহণ করেছিল। তাই তাঁর মাথা গোঁজার ঠাঁইও ছিল না। শেষ পর্যন্ত বোলপুরের রাঙামাটির দেশেই তান খুঁজে পেলেন আপন নীড়। এই ভারতপ্রেমী মানুষটি ১৯৭৮-এ বিশ্বভারতী থেকে অবসর গ্রহণ করে চলে যান বুদ্ধগয়ায়। সেখানে তিনি স্থাপন করেছিলেন ‘বিশ্ব বৌদ্ধ সঙ্ঘ’। ১৯৮৩ সালে ওখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।