পুতুল
সেদিন দেখার হাতে কলমটা দিয়ে বসে রইলাম . . .
দেখা আর লেখে না!
দেখা আর লেখে না!
বললাম, এই দেখা তুই কিছু লিখছিস না কেন রে?
দেখা বলল, শোনা জানে।
শোনাকে জিগ্যেস করলাম,
এই শোনা, দেখা কিছু লিখছে না কেন রে?
শোনা বলল, পড়া জানে।
পড়া বলল, কল্পনা জানে। কল্পনা বলল, অবচেতন জানে।
অবচেতন বলল, চেতন জানে।
চেতন বলল, মর্ম জানে . . .
আমি খুব রেগে গিয়ে বললাম, আমি কি তোদের খেলার পুতুল?
সকলে একসাথে উত্তর দিল, না না, খেলার কেন হবি,
তুই আমাদের লেখার পুতুল!
বইওয়ালা
ভার্চুয়ালে মন ভরে না আর?
মুঠোযন্ত্রে মুখ হয়েছে ভার?
এবার তাকা আকাশে নীল চোখে
দেখ কী করে রাতের তারা ঝোঁকে
আসন পাতে বাতাস ভোর হলে
মন্ত্র পড়ে গাছের কথা ব’লে
কোন আদরে রঙপাখিরা ওড়ে
কোন আবেশে ফুলেরা চুপ ক’রে . . .
এসব কথা লিখছে না কি কেউ?
তুলছে না কি কারোর মনে ঢেউ?
লিখল যদি আজকে তারা কই!
ওই তো দূরে দাঁড়িয়ে হাতে বই . . .