এক বাড়িতে দু’জন শিশু থাকলে তারা মেতে ওঠে বালিশ নিয়ে মারামারিতে। কখনও বালিশ ফেটে তুলোও ছড়াতে থাকে সারা ঘরবাড়ি। কিন্তু এটাই যদি প্রতিযোগিতার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, কেমন হবে? জাপানে এইরকম একটা মজার প্রতিযোগিতা হয়।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সমগ্র জাপান থেকে দল বেঁধে মানুষরা বিশ্বের অন্যতম ‘অল-জাপান পিলো ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ অংশ নিতে সে দেশের ছোট মাছ ধরার শহর ইতোয় যায়।
২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্ট আকারে এই খেলার আয়োজন করা হয়; তারপর থেকে প্রতি বছরই প্রতিযোগিতাটি হয়ে আসছে। দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়; প্রতি দলে পাঁচজন করে খেলোয়াড় থাকে এবং তাদের সবার গায়ে থাকে জাপানের গ্রীষ্মকালীন পোশাক য়ুকাতাস। প্ৰথমে তারা সবাই মেঝেতে কম্বল মুড়ে ঘুমিয়ে থাকার ভান করে থাকে এবং রেফারি বাঁশি দিলেই দ্রুত উঠে এসে বালিশের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় বিশেষ করে তাদের দলনেতাকে বালিশ ছুঁড়ে আক্রমণ করা, যেন সে খেলার বাইরে ছিটকে পড়ে। দলনেতা আহত হলেই রাউন্ড শেষ। যে দল দু’টি দুই মিনিটের রাউন্ড জেতে, তারাই জয়ী। রাউন্ড জুড়ে প্রতি দলের একজন করে খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের বালিশ থেকে দলনেতাকে রক্ষা করতে একটি লেপ ব্যবহার করে।
২০১৪ সালে জাপানি কোম্পানি মাকুরা কাবুশিকিগাইশা একটি বিশেষ বালিশ বাজারে আনে প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যেই। এখনও পর্যন্ত এটিই প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল বালিশ। বালিশটি নাকি একেবারে ‘নিখুঁত’- নিক্ষেপ করার জন্য যথেষ্ট ভারী আবার এমন স্থিতিস্থাপক যেন এর মাধ্যমে প্রতিযোগীরা কোন আঘাত না পায়। ভাবা যায়! আমরা যাকে শোয়ার জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করি, সেই হয়ে উঠল প্রতিযোগিতার বিষয়।