কুরুক্ষেত্রের নাম তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছ, যেখানে পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বলে। কুরুক্ষেত্রের মধ্যে দুটি নদী বইছে— সরস্বতী ও দৃষদ্বতী। এই দুটি নদীর মধ্যবর্তী স্থানের নাম ব্রহ্মাবর্ত্ত। এই ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশ ভারতবর্ষের ইতিহাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। আদিরাজ মনু থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় রাজা-মহারাজা এখানে রাজত্ব করে গেছেন।
নানা নদ-নদীর জলে এই ব্রহ্মাবর্ত্ত সুজলা সুফলা, শস্য-শ্যামলা হয়ে রয়েছে। এই কৃষিক্ষেত্র প্রত্যেক ঋতুতেই বিভিন্ন রকমের শস্যে সেজে ওঠে। কিন্তু বিধাতার কী বিড়ম্বনা! হঠাৎ এমন ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশে প্রচণ্ড জলের অভাব দেখা দিল। টানা বারো বছর ধরে বৃষ্টি নেই। জল না পেয়ে পেয়ে জমি শুকিয়ে গেছে— গাছপালা সব নিঝুম হয়ে রয়েছে। তাদের পাতার আর সেরকম শোভা নেই। সব যেন শুষ্ক বিবর্ণ হয়ে গেছে। জল না পেয়ে সমস্ত জীব মরার মতো হয়ে রয়েছে, সৃষ্টি বুঝি আর থাকে না। গরম বাতাস বয়ে বয়ে মানুষের বাড়িঘর সব উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গাছের পাতা সব ঝরে গেছে। কোথাও এমন ছায়া নেই যেখানে জীবজন্তু একটু বিশ্রাম করে। একে দারুণ অন্নকষ্ট, তার ওপর প্রকৃতির এই অবস্থা! দেশে মড়ক দেখা দিল। মানুষ মরল— গরু-বাছুর সব মরে প’ড়ে রইল। সমস্ত ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশ খাঁ-খাঁ করছে যেন!
গরীব গৃহস্থের বাড়ি— বুড়ো-বুড়ি, ছেলে-মেয়ে সব মরে গেছে। একটি দশ বছরের বালক মাত্র বেঁচে আছে। ছেলেটির নাম ভরত। সে মা-বাবা-ভাই-বোনের জন্য কেঁদে আকুল। সেখানে এমন কেউ বেঁচে নেই যে ছেলেটিকে একটু সান্ত্বনা দেয়। সমস্ত দিন কেঁদে কেঁদে ভরত হাঁপিয়ে উঠল। খিদে-তেষ্টায় তার বড় কষ্ট হচ্ছিল। মায়ের মুখে সে শুনেছিল— বিপদের সময় একমনে ভগবানকে ডাকলে প্রাণে শান্তি পাওয়া যায়। ভগবান সরল শিশুর কাতর ডাক অবহেলা করতে পারেন না।
তাই সে একমনে ভগবানকে ডাকতে লাগল— ‘ভগবান! এ বিপদে রক্ষা করো; আমার মা-বাবা, ভাই-বোনকে বাঁচাও— আমার স্বদেশকে রক্ষা করো।’ নিজেকে ছেড়ে যখন ছেলেটি পরের জন্য ভগবানকে ডাকল, তখন আর ভগবান চুপ করে থাকতে পারলেন না। তিনি এক বুড়ো ব্রাহ্মণের রূপ ধরে তাকে দেখা দিলেন এবং ছেলেটিকে আদর করে বললেন, ‘বাবা! তুমি কি চাও?’
এতদিন পর ভরত একটু আদর ও স্নেহ পেয়ে প্রথমে তো কিছুই বলতে পারল না। শেষে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বলল, ‘দেখুন, আমার দেশের অবস্থা! বারো বছর বৃষ্টি না হওয়ায় দেশের সব জীবজন্তু মরে গেছে— আমার বাবা-মা-ভাই-বোন কেউ আর বেঁচে নেই, কেবলমাত্র আমিই বেঁচে আছি। কিন্তু ক্ষুধা ও পিপাসায় আমিই বা আর কতক্ষণ বাঁচব! ভগবান! যদি দয়া করে দেখা দিয়েছ, তবে এমন উপায় করে দাও যাতে পূর্বের শ্রী আবার ফিরে আসে। আমার মা-বাবা-ভাই-বোনকে না দেখে আমি বড় কাতর হয়েছি। দয়া করে এঁদের সকলকে বাঁচিয়ে দাও।’
বৃদ্ধ বললেন, ‘বাবা, তুমি বড় কঠিন কথা বলেছ! এ কাজ তো আমার দ্বারা হবে না, এ কাজ একমাত্র তুমিই করতে পারো। ছেলেটি বলল, বলুন,কী করলে আমি আমার দেশকে বাঁচাতে পারব, আমার আপনজনদের উদ্ধার করতে পারব?’
বৃদ্ধ বললেন, ‘বাবা! কালের বিধানে দেশে লোকদের মধ্যে অ-জ্ঞানের বড় বাড়াবাড়ি হয়েছিল, এই জন্যই দেশের এই অবস্থা হয়েছে। এখন দেশের মধ্যে জ্ঞানের আলো আনতে হবে; বিদ্যার আলোয় নর-নারীর প্রাণ আলোকিত করতে হবে। যদি তুমি এ অসাধ্য সাধন করতে পার, তবেই তোমার পিতা-মাতার মুক্তি— তোমার স্বদেশের মুক্তি।’
ভরত বলল, ‘বলুন, আমি কী করে এ কাজ করতে পারব?’
বৃদ্ধ বললেন, ‘বাছা! এই কাজটি বড়ই কঠিন। এখান থেকে উত্তর মুখে অনেক দূর চলে গেলে হিমালয় পর্বত পাবে। সেই হিমালয় বড় কঠিন জায়গা। পাহাড়ের পরে পাহাড়। তার ওপরে ওঠবার রাস্তা বড় কম চওড়া; ধীরে ধীরে যেতে হবে— একটি পা এদিক ওদিক হলে পা পিছলে গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার ভয়। এভাবে পাহাড়ের পর পাহাড় ছাড়িয়ে শেষে খুব উঁচু পাহাড়ের ওপর একটি পুকুর দেখতে পাবে। সেই পুকুরে হাজার হাজার সাদা পদ্মফুল ফুটে রয়েছে। এই শ্বেতকমলের পাপড়ির ওপরে এক দেবী বসে আপন মনে বীণা বাজাচ্ছেন। তাঁর পরনে সাদা রেশমী বসন, গলায় মোতির মালা, মাথার মুকুটও সাদা। জ্ঞানের আলোয় সেখানকার কালো ভ্রমরগুলো পর্যন্ত সাদা হয়ে গেছে। সেখানে বীণার ঝঙ্কারের সাথে ভ্রমরের গুনগুন রব মিলিয়ে মনোহর সুর-ঝঙ্কার উঠছে। চারিদিকে সাদা আলো ছড়িয়ে পড়েছে। আরও দেখবে, সেই শ্বেতকমলের বনে আরও সাতজন দেবী বসে আছেন। তাঁদের নাম সুপ্রভা, কাঞ্চনাক্ষী, বিশালা, মনোরমা, ওঘবতী, সুরেণু ও বিমলোদকা। এঁরা এই বীণাপাণি দেবীর বোন ও বন্ধু। যার ফলে, এই সাতটি বোনকে নিয়ে এই দেবীর পূর্ণ বিকাশ; এঁর নাম সরস্বতী, ইনি সর্ববিদ্যার জননী এবং বেদমাতা। তুমি সেই সরোবরে গিয়ে ভক্তির সাথে স্নান করবে এবং শ্বেতকমল তুলে দেবী সরস্বতীর পুজো করবে। সরস্বতীর পুজো করলে সরস্বতী দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তোমায় বর দান করবেন। তাঁর বরে তুমি সর্ববিদ্যায় জ্ঞানলাভ করবে এবং তোমার পিতামাতাকে— তোমার স্বদেশকে তুমি উদ্ধার করবার পথ খুঁজে পাবে।’
এই কথা বলে বৃদ্ধ অন্তর্ধান করলেন।
ভরত হঠাৎ বৃদ্ধকে সেখান থেকে অদৃশ্য হতে দেখে খানিকক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল, শেষে কী ভেবে উত্তর মুখে চলতে লাগল।
ক্ষুধা ও পিপাসায় ভরতের মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল— এক পা চলতে যেন পায়ে-পায়ে ঠেকছিল— কিন্তু ওই বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা হবার পর থেকে ভরতের ক্ষুধা-তৃষ্ণা সব চলে গেছে। সমস্ত শরীরে যেন নতুন বলের সঞ্চার হয়েছে। ভরত অতীতের সব বেদনা ভুলে দেবী সরস্বতীর বর প্রার্থনা করবার জন্য ক্রমশ উত্তর মুখে চলতে লাগল। এভাবে বহুদূর পথ চলে, কত জনশূন্য বন পার হয়ে ভরত এক উঁচু পর্বত দেখতে পেল। সেই পর্বতের ওপরে সাদা সাদা বরফ জমা হয়ে রয়েছে দেখে ভরত বুঝল এই পর্বতের নাম হিমালয় পর্বত।
হিমালয় পর্বত দেখে ভরতের মনে হতে লাগল এবার বুঝি আমার আশা পূর্ণ হবে, আমি এতদিন যা চেয়েছিলাম বুঝি তা এইখানেই পাওয়া যাবে। এই ভেবে ভরত ওই পর্বতে ওঠবার রাস্তা খুঁজতে লাগল। কিন্তু পর্বতে ওঠবার রাস্তা কোথায়! বরং চারিদিকে বাঘ-ভাল্লুকের চিৎকার, অজগর সাপের দীর্ঘ নিঃশ্বাস, তরক্ষুর গর্জন ও বন্য মহিষের বিদ্যুতের মতো গতি দেখে তার প্রাণ কেঁপে উঠল; পর্বতে ওঠবার বাসনা তার আর রইল না। ভরত পর্বতের নীচে দাঁড়িয়ে কত কী ভাবতে লাগল!
হঠাৎ তার মনে হল— এ আমি কী করছি! আমাকে যে পিতামাতাকে উদ্ধার করতে হবে— আমার স্বদেশকে যে রক্ষা করতে হবে! এই ভেবে ভরত সব বিপদ তুচ্ছ করে পর্বতের ওপর উঠতে লাগল। কিন্তু সে এক ভয়ানক ব্যাপার। মাঝে মাঝে রাস্তা এত কম চওড়া এবং নীচে এমন গভীর গর্ত যে, পা পিছলালে আর নিস্তার নেই। যাই হোক, ভরত পিতামাতাকে স্মরণ করে এক লক্ষ্যে পর্বতের ওপর উঠতে লাগল। কত হিংস্র জন্তু হাঁ করে তাকে গিলতে আসছিল। কিন্তু জাদুকরের দৃষ্টির মতো দৃষ্টি দিয়ে তাদের দিকে চাইতেই তারা মাথা নামিয়ে তাকে রাস্তা ছেড়ে দিতে লাগল। এইভাবে অনেকক্ষণ চলে ভরত এক অপূর্ব আলো দেখতে পেয়ে বুঝল, বোধহয় সরস্বতী সরোবর কাছেই রয়েছে। যেহেতু বৃদ্ধ বলেছিলেন যে, এক অপূর্ব আলোতে সেই সরোবরের চারিদিক শোভা পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই শুনতে পেল নানা জলচর পাখির কলরবের সঙ্গে ভ্রমরের গুঞ্জন ধ্বনি উঠছে। এটা শুনেই ভরতের বিশ্বাস হল যে, সে সরস্বতী সরোবরের কাছাকাছিই পৌঁছে গেছে।
ভরত আর একবার চেষ্টা করে উঁচু পর্বতের ওপর উঠল। হঠাৎ বীণার মধুর ঝঙ্কার তার কানে যেন সুধা ঢেলে দিল। এবার ভরত বুঝল, নিশ্চয়ই এই বীণার মধুর স্বর সেই বীণাপাণির বীণা থেকে আসছে। হঠাৎ ভরত শ্বেতকমল-শোভিত এক সরোবর দেখতে পেল। সেই সরোবর দেখে ভরতের আনন্দের আর সীমা রইল না। ভরত দেখল, সেই শ্বেতকমলদলের ওপর এক শ্বেতবর্ণা ও শ্বেত বসন-ভূষণ-শোভিতা দেবী বসে আপন মনে বীণা বাজাচ্ছেন। এই মূর্তি দেখে ভরতের সাধ মিটল না। ভরত প্রাণভরে সেই রূপ দেখতে লাগল। স্বর্গবীণার মধুর স্বর-তরঙ্গে বালকের প্রাণে আনন্দের জোয়ার শতধারে ছুটতে লাগল।
ভরত সরস্বতী সরোবরে নেমে স্নান করল এবং মনের সাধে শ্বেতকমল তুলে সরস্বতী দেবীর উদ্দেশে পুষ্পাঞ্জলি দিল। দেবী সরস্বতী ভরতের বহুদিনের সাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দর্শন দিলেন। ভরত সেই অপরূপ মাতৃমূর্তি অপলক নয়নে দেখতে লাগল। আনন্দে তার দুটি চোখ থেকে জল পড়তে লাগল এবং অলক্ষ্যে সেই জলধারার এক বিন্দু দেবীর চরণে পড়ামাত্র দেবী বললেন, ‘বাছা, তুমি কী চাও বল?’ ভরত হাত জোড় করে বলল, ‘মা, দারুণ জলকষ্টে আমার মা-বাবা সব মারা গেছে, ব্রহ্মাবর্ত্তের কোনও প্রাণী আর জীবিত নেই। আমার মা বাবাকে উদ্ধার করবার জন্য— আমার স্বদেশকে রক্ষা করবার জন্য তোমার খোঁজেই এই দুর্গম জায়গায় এসেছি। দয়া করে আমার প্রার্থনা পূর্ণ করো। আমি তোমার আশ্রয়প্রার্থী।’
ভরতের এই কথা শুনে দেবী সরস্বতী বললেন, ‘তথাস্তু! বাছা, আমি তোমার বাসনা পূর্ণ করব।’ এই কথা বলবার সঙ্গে সঙ্গে সরস্বতী সরোবরের এক পাশ দিয়ে একটি জলের ধারা বেরিয়ে চলতে লাগল। সরস্বতী দেবী সেই পদ্মটির ওপর বসে বীণা বাজাতে বাজাতে সেই জলধারায় বয়ে যেতে লাগলেন। হঠাৎ একটি পদ্মের পাতা ভরতের কাছে ভেসে এল এবং ভরত সেই পদ্মপাতার ওপর বসে সাদা পদ্মফুল দিয়ে পুজো করতে করতে স্রোতের টানে চলতে লাগলেন।
ক্রমে সেই জলধারা ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশে উপস্থিত হল। সরস্বতী সরোবরের সেই শীতল জলধারা পেয়ে শুষ্ক রুক্ষ ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশ আবার সরস হয়ে উঠল। আবার গাছে গাছে নতুন পাতা দেখা দিল। মাটিতে নতুন ঘাস গজাল। নতুন পাতায় পাতায় পাখিরা সুর তরঙ্গ ছড়িয়ে গোটা ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশের সজীবতা যেন চারিদিকে জানাতে লাগল। নবীনতার সাড়া পেয়ে ভরত পুলকিত হল এবং যেখানে তাঁর পিতা-মাতার কঙ্কাল পড়েছিল, সেই দিক দিয়ে সরস্বতীর গতিপথ ফিরিয়ে দিলেন। সরস্বতীর পবিত্র জলের স্পর্শে ভরতের মৃত পিতামাতা আত্মীয়-স্বজন প্রাণ ফিরে পেলেন। অনাবৃষ্টির নিষ্ঠুরতায় যে ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশ নীরব নিঝুম হয়ে পড়েছিল, এখন তা নব জাগরণের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠল। এখন ভরত আর সামান্য বালক নেই। সরস্বতীর বরে তিনি এখন ভরত মুনি হয়েছেন।
পিতামাতাকে আবার প্রাণ ফিরে পেতে দেখে ভরতের আর আনন্দের সীমা নেই। ব্রহ্মাবর্ত্ত দেশের বিশাল প্রান্তর নানা শস্যসম্ভারে হাসতে লাগল। সরস্বতীর দয়ায় দেশে আর কেউ অজ্ঞ বা মূর্খ রইল না। সকলেরই প্রাণ সত্য আর জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠল। সরস্বতীর বরে ভরতমুনি নানা বিদ্যায় পণ্ডিত হলেন। সরস্বতীর বীণার ঝঙ্কার শুনে ভরতের প্রাণে অপরূপ সুর জেগে উঠল। তিনি সঙ্গীত শাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী হয়ে উঠলেন। ভবিষ্যতে ইনিই নাট্য-শাস্ত্র লিখেছিলেন। নাট্যশাস্ত্র ও নাটক-রীতি ছাড়া ইনি একটি অলঙ্কার গ্রন্থও লিখে পৃথিবীতে নিজের ছাপ রেখে গেছেন।
ভরত কি কেবল এই জন্যই প্রসিদ্ধ হয়েছেন? তা নয়। সুপুত্র থেকে পিতামাতার উদ্ধার জয়— বংশের গৌরব বাড়ে, কিন্তু ভরতের খ্যাতি এজন্য নয়। বংশের উদ্ধারের জন্য, স্বদেশের উদ্ধারের জন্য তাঁর প্রাণ কেঁদেছিল— মানবজাতির উপকারের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করে স্বর্গ থেকে দেবী সরস্বতীকে পৃথিবীতে এনেছিলেন তিনি। অপরের জন্য মধুর অবদানেই তিনি পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। ভরত মুনি সরস্বতী দেবীকে পৃথিবীতে এনেছিলেন, এই পবিত্র ঘটনার স্মৃতিরক্ষার জন্য সেই দিন থেকে গোটা মানবজাতি সরস্বতী দেবীর এক নতুন নামকরণ করলেন— ভারতী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী দেবী পৃথিবীতে এসেছিলেন, এই পবিত্র ঘটনার স্মৃতি রক্ষা করে এখনও আমাদের দেশের বালকগণ ভক্তিভরে ভারতী সরস্বতী-দেবীর পুজো করে থাকে।
ঋণ: শিশুভারতী