ইটালি বলতে কী মনে পড়ে? স্বপ্নে ঘেরা রোম কিংবা অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা ভেনিস? এই সৌন্দর্যের এক কোণে কিন্তু লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় দ্বীপ যাকে বলা হয় ভূতুড়ে দ্বীপ। ভেনিস ও লিডোর মাঝামাঝি অবস্থিত পভেগলিয়া দ্বীপ। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দের ব্ল্যাক ডেথ নামক এক সংক্রামক মহামারির সময় এই পভেগলিয়া দ্বীপকে ব্যবহার করা হত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে। কোনও মানুষের মধ্যে এই রোগের ন্যূনতম লক্ষণ দেখা দিলেও তাকে জোর করে ঠেলে দেওয়া হত ওই দ্বীপে।
মানুষজন মারা গেলে তার দেহ থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য পুড়িয়ে ফেলা হত মৃতদেহগুলোকে। আগুনে পোড়া দেহের অবশিষ্ট ওইভাবে রাস্তাতেই পড়ে থাকত। প্রায় ৭ হেক্টর জমি জুড়ে এই জায়গাকে অবাধ অন্ত্যেষ্টিস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বছরের পর বছর। বলা হয়, প্রায় এক লক্ষ ষাট হাজার লোকের মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছিল সেখানে। শোনা যায়, এই পভেগলিয়া দ্বীপের মাটির অর্ধেকের বেশি অংশই নাকি মৃতদেহ পোড়ানো ছাই।
বিংশ শতাব্দির কুড়ির দশকে পভেগলিয়া দ্বীপে তৈরি হয় একটি মানসিক হাসপাতাল এবং শোনা যায় সেখানে নাকি নানারকমের ভয়ঙ্কর সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হত। কিছুদিন আগে একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য তিনজন এই নির্জন নিস্তব্ধ দ্বীপে পৌঁছে তাঁদের চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন যার ফলে নতুন করে কৌতূহল দানা বাঁধে এই রহস্যময় পভেগলিয়া দ্বীপকে ঘিরে।
www.news.com; italicsmag.com