Categories
রকমারিনগর |

সত্যজিৎ, সন্দেশ ও আমার আঁকা

444 |
Share
| ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
পার্থরঞ্জন দাশ

ইলাস্ট্রেটর ও আর্কিটেক্ট

ছবি: পার্থরঞ্জন দাশ

ছেলেবেলা থেকেই আমার ছবি আঁকার খুব শখ ছিল। বাড়িতে দেশি ও বিদেশি শিল্পীদের আঁকা ছবির বই অনেক ছিল। সুযোগ পেলেই সেগুলোর পাতা ওল্টাতাম এবং মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। বড় শিল্পীদের আঁকা ছবির সাথে বিভিন্ন পত্রিকার গল্প ও উপন্যাসের ছবিও খুব মন দিয়ে দেখতাম ও মাঝে মাঝে নকল করার চেষ্টা করতাম। বিমল দাশ, প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়, নারায়ণ দেবনাথ, ময়ূখ চৌধুরী, ধীরেন বল, সমর দে, সূর্য রায় এনারা অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। খবরের কাগজের ধারাবাহিক কমিক্স এবং কমিক্সের বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি বই থেকেও বহু ছবি নকল করেছি।

মৃগাঙ্কবাবুর ঘটনা

ক্রমে উপলব্ধি করলাম যে বড় শিল্পীদের ছবি আঁকার মধ্যে যেমন তাঁদের নিজস্ব ব্যাকরণ, পরিকাঠামো এবং পারদর্শিতার প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনটি আছে গল্পের বা কমিক্সের ছবির মধ্যে। বিদেশে এই ধরনের ছবির শিল্পীদের কাজের প্রদর্শনী হয় এবং শ্রেষ্ঠ ছবির সংকলনের বই বিক্রি হয়। আমাদের দেশে এই ধরনের শিল্পীদের সেরকম কদর হয় না।

স্কুলের শেষের দিকে যাঁদের ছবি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল, তাঁরা হলেন সমীর সরকার, সুধীর মৈত্র, রভি পরঞ্জপে, এস. এস. শেখ, জে. পি. সিংঘান ও আরও অনেকে। কিন্তু এঁদের ছাপিয়ে গেলেন রণেন আয়ন দত্ত, রঘুনাথ গোস্বামী এবং সত্যজিৎ রায়। এরপর স্কুলের পাঠ শেষ করে কলেজে ভর্তি হবার সময় এসে গেল। যাদবপুরে স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে ভর্তি হলাম। আমার প্রিয় বন্ধু উজ্জ্বল চক্রবর্তী বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আর্ট কলেজে ভর্তি হল।

উজ্জ্বলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার ফলে আমি কমার্শিয়াল আর্ট এবং ইলাস্ট্রেশনের নান্দনিক মর্যাদা উপলব্ধি করতে শুরু করলাম। স্থাপত্যবিদ্যা অর্থাৎ আর্কিটেকচারে গ্র্যাজুয়েশন হওয়ার পর চাকরি শুরু হল ১৯৭১ সালে। অবসর সময়ে ছবি দেখা, ছবি বোঝা ও ছবি আঁকা চলতে লাগল।

১৯৮১ সালে উজ্জ্বলের সুপারিশ ও উৎসাহে ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় ছবি আঁকার সুযোগ পেলাম। যাদুকর এ. সি. সরকারের ম্যাজিক শেখানোর একটা ছোট লেখার জন্য ছবি আঁকার কাজ। ম্যাজিকটা ভাল ভাবে বোঝানোর জন্য এগারোটা ছবি এঁকে ফেললাম। মানিকদা অবশ্য বললেন যে এতগুলো ছবি তো ছাপা যাবে না, চারটে ছবি হলেই হবে। আমি তাতেই খুশি। নিজের হাতকে মডেল করে, আর্কিটেকচারের টেকনিকাল ড্রইং-এর কলম দিয়ে, প্রচুর সময় নিয়ে, ছোট ছোট সূক্ষ্ম দাগ দিয়ে আঁকা ছবি সন্দেশের পাতায় ছাপা হবার পর কীরকম লাগবে, তা নিয়ে চিন্তায় রইলাম।

ছবি আঁকার নেশায় যেটা পুরোপুরি উপেক্ষা করেছিলাম, সেটা হল বাংলায় গল্পের নাম লেখার কাজ। কিন্তু সেটাও ক্রমে আয়ত্ত করতে হল। বর্ণপরিচয় কিনে, বাংলা হরফের গঠনভঙ্গি দেখে, তার থেকে প্রতিটি গল্পের নাম লেখা অভ্যাস করতে হল। সেটারও হাতেখড়ি উজ্জ্বলের কাছে।

মৃগাঙ্কবাবুর ঘটনা

সন্দেশে ছাপা নিজের আঁকা ছবি দেখে মনে হল ছবিগুলো খুব সাধারণ মানের হলেও মোটামুটি উত্তরে গেছে। এরপর একটা দুটো করে গল্প আসতে লাগল সন্দেশ থেকে। প্রত্যেক মাসে উদগ্রীব হয়ে থাকতাম নলিনীদির (নলিনী দাশ) ফোনের জন্য। নলিনীদি ফোন করে বলতেন, ‘পার্থ, তোমার জন্য একটা গল্প আছে। নিয়ে যেও।’ আর আমি নাওয়া-খাওয়া ভুলে দৌড়াতাম গল্প নিয়ে আসার জন্য। তখন আমি কলকাতার একটা নামী সংস্থায় চাকরি করছি। পার্কস্ট্রিটে অফিস। কাজেই অফিসের পরে সোজা চলে যেতাম ত্রিকোণ পার্কের পাশে সন্দেশের অফিসে। মানিকদা গল্পগুলো পড়ে ঠিক করে দিতেন কে ছবি আঁকবে।

ছবি আঁকার প্রথম দিকে আমার কোনও ধারণা ছিল না যে সাদা রং ব্যবহার করে ছবির বিষয়বস্তুকে কাছে আনা যায় বা দূরে ঠেলে দেওয়া যায়। আমার ছবিগুলো যেভাবে জমা দিতাম এবং যেভাবে ছাপা হত, তার মধ্যে তফাৎ থাকত। অনেক সময় দেখতাম যে সাদা রং দিয়ে আমার ঘন কালো লাইনের বুনটকে হাল্কা করে দেওয়া হয়েছে। অথবা সূক্ষ্ম সাদা দাগ টেনে ছবির আসল বিষয়বস্তুকে অনেক পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। এই সাদা রঙের ব্যবহার দূরের জিনিসকে দূরে এবং কাছের জিনিসকে কাছে নিয়ে আসত। ছাপা হওয়ার পর দেখতে অনেক ভাল লাগত। ক্রমশ আমিও ছবি আঁকা শেষ হওয়ার পর সাদা রং ব্যবহার করা শিখে গেলাম। তার ফলে ছবির মধ্যে অনেক স্পষ্টতা তৈরি হল।

এর মধ্যে বিখ্যাত প্রকৃতিবিদ ডেভিড এটেনবারোর একটি গল্পের ছবি আঁকার সুযোগ পেলাম। গল্পটি কোমোডো দ্বীপের অতিকায় সরীসৃপ বা ড্রাগনদের
নিয়ে লেখা। কিন্তু কোমোডোর ড্রাগনের ছবি পাই কোথা থেকে। তখনও ইন্টারনেটের যুগ শুরু হয়নি। আমার কাছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের যে সংখ্যাগুলো ছিল, তাতে কোমোডো ড্রাগনের ছবি পেলাম না। অগত্যা মানিকদার কাছে দৌড়াতে হল। ওনার সংগ্রহে অসংখ্য প্রকৃতি ও জন্তু-জানোয়ার নিয়ে বই এবং মাসিক পত্রিকার সংকলন ছিল। তার থেকে একটা পাতলা ম্যাগাজিন বার করে দিলেন। বললেন, ‘এর মধ্যে পাবে। ছবি আঁকা হয়ে গেলে ফেরত দিয়ে যেও।’
গল্পের ছবিগুলো রোট্রিং টেকনিকাল পেন দিয়ে আঁকলেও, মোটামুটি উত্তরে গিয়েছিল।

সন্দেশের প্রথম দিকের ছবি আমি মোটা ট্রেসিং পেপারে করতাম। কারণ ছবির প্রথম খসড়ার ওপরে নতুন ট্রেসিং পেপার চাপিয়ে আসল ছবির কাঠামো তৈরি হত। তারপর আবার ট্রেসিং পেপার ব্যবহার করে ছবিটা শেষ করা হত। এর জন্য এক একটা ছবি আঁকতে বেশ সময় লেগে যেত। একটা গল্পের ছবি দিতে বেশি দেরি হলে, নলিনীদি ফোন করে তাড়া দিতেন। তখন বেশি রাত অবধি কাজ করে ছবিগুলো শেষ করতে হত।

প্রত্যেক বছর আমার ছবির উন্নতি হতে লাগল। কিন্তু অন্যান্য শিল্পীদের থেকে আমার ছবি যে অনেক নিম্নমানের, সেটা আমাকে সবসময়ে বিব্রত করত। ১৯৮৬ সাল থেকে ট্রেসিং পেপার ছেড়ে ভাল সাদা কাগজে আঁকতে শুরু করলাম। রোট্রিং কোম্পানি তখন ছবি আঁকার জন্য আলাদারকম কলম তৈরি করা শুরু করেছে। এছাড়া সাধারণ ফাউন্টেন পেন দিয়েও যে চমৎকার ছবি আঁকা যায় তা উপলব্ধি করলাম। বিদেশি শিল্পীদের মতো তুলি দিয়েও আঁকতে শুরু করলাম। নিজেই খেয়াল করলাম যে আমার কলমের দাগের আড়ষ্টতা ক্রমশ কেটে যাচ্ছে। সাহসও বাড়তে লাগল। ভাবলাম রোট্রিং টেকনিকাল পেন ব্যবহার করা একেবারে ছেড়ে দেব।

এখানে মানিকদার একটা বড় গুণের কথা বলতেই হয়। সন্দেশে দু’ধরনের শিল্পীরা কাজ করতেন। একদল ছিলেন আর্ট কলেজ থেকে পাশ করা পেশাদারী শিল্পী, অথবা বিমল দাশের মতো পাশ-না-করা পেশাদারী শিল্পী। অন্যদলের শিল্পীরা ছিলেন নিজে-নিজে-শেখা অর্থাৎ এক অর্থে অপেশাদারী। আমি এই দ্বিতীয় দলের একেবারে নীচের দিকে ছিলাম। কারণ আমি সারাদিন অন্য পেশায় নিযুক্ত থাকতাম। আমার এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমি বহু ধরনের বই কিনতাম ও বিদেশি শিল্পীদের কাজ দেখে শেখার চেষ্টা করতাম। মানিকদা কিন্তু আমাদের এই ঘাটতিকে কখনও বড় করে দেখেননি। বরঞ্চ ক্রমাগত উৎসাহ দিতেন ও ভুল শুধরে দিতেন।

ব্রজবুড়ো

অনেক দ্বিধা কাটিয়ে মানিকদাকে একদিন জিজ্ঞাসা করলাম যে টেকনিকাল পেন দিয়ে আঁকা বন্ধ করে দেব কিনা। মানিকদা কিন্তু বললেন, ‘সেটা করার দরকার নেই। রোট্রিং দিয়ে আঁকার ফলে তোমার ছবির একটা বিশেষ চরিত্র তৈরি হচ্ছে। সেটা নষ্ট কোরো না।’ এটা শোনার পর আমার নিজের ওপর আস্থা অনেক বেড়ে গেল। এর পর নানাধরনের কলম বা তুলি দিয়ে আঁকার সাথে রোট্রিং-এর কাজও চলতে থাকল। এই সময়ে প্রায় প্রত্যেক মাসেই সন্দেশের গল্পের ছবি আঁকতাম।

মানিকদার সিনেমা করা এবং অন্যান্য কাজের ব্যস্ততার জন্য প্রথম ওনার গল্পে ছবি আঁকার সুযোগ পেলাম সন্দেশের আষাঢ় ১৩৯৪ (১৯৮৭) সংখ্যায়। আমার তো হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো মনের অবস্থা। সন্দেশে তখন আষাঢ় মাসে আষাঢ়ে গল্প ছাপা হত। বহু নামী লেখক লিখতেন। মানিকদার গল্পের নাম ছিল ‘কুটুম কাটাম’। দুই বন্ধু দিলীপ আর প্রমোদ। আর অদ্ভুত একটা গাছের ডাল নিয়ে এক আষাঢ়ে গল্প। গল্পের নামটা খুব যত্ন করে লিখলাম, কারণ ততদিনে আমার বাংলা হাতের লেখা বেশ উন্নত হয়েছে। ছোটগল্প বলে একটাই ছবি আঁকলাম। কিন্তু পেয়েছিলাম। অনেক সময় নিয়ে আঁকলাম। এরপর আমি মানিকদার বেশ কয়েকটি গল্পে ছবি এঁকেছিলাম। তবে কুটুম কাটাম-এর ছবি আমার সবচেয়ে পেশাদারী কাজ বলে এখনও মনে করি।

এরপর আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীতে সেই বছরই মানিকদা ‘টেলিফোন’ নামে একটা ছোট ভূতের গল্প লেখেন। পুজোর আগে মানিকদার সন্দেশের সম্পাদনা ও আনন্দমেলার জন্যে গল্প লেখা ও ছবি আঁকার ব্যস্ততায়, ‘টেলিফোন’-এর ছবি আঁকার ভার পড়ল আমার ওপর। গল্পটা খুবই ছোট। সেই জন্য একটাই ছবি আঁকা হল। যদিও খুব যত্ন করে, পুরনো টেলিফোন জোগাড় করে ছবিটা আঁকলাম, তবে তা ‘কুটুম কাটাম’-এর ছবির মতো হল না। আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীতে ছবিটা ছাপা হল বেশ ছোট আকারে। তাতে মন ভরল না।

এর বেশ কিছুদিন বাদে মানিকদার আরেকটা ছোট গল্পের ছবি আঁকার কাজ হাতে এল। সন্দেশের জন্য লেখা ‘গণেশ মুৎসুদ্দির পোর্ট্রেট’। এতগুলো যুক্তাক্ষর থাকার ফলে গল্পের নাম লিখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল।
প্রথমবার ঠিকঠাক লেখা হয়নি বলে নলিনীদির কাছে ভালরকম বকুনি খেলাম।
তার ফলে আবার রাত জাগা।
দু’তিনবার খসড়া করে তারপর গল্পের নাম এবং ছবি তৈরি হল।
ততদিনে আমার একটা কাঁচের টেবিল ও একটা টেবিল ল্যাম্প জোগাড় হয়ে গেছে। প্যাডের কাগজে প্রথম খসড়াগুলো হবার পর সেগুলো কাঁচের টেবিলের ওপর রেখে, টেবিলের তলায় ল্যাম্পের আলো জ্বালিয়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় খসড়ার কাজ হত। এইসব কাজ রাত্রে করতে সুবিধা হত। তবে আসল ছবিটা শেষ করা হত পরের দিন সকালে।

মানিকদার পরের যে গল্পটা পেলাম, সেটার নাম ছিল- ‘মৃগাঙ্কবাবুর ঘটনা’। গল্পটা ১৪০০ সালে, সন্দেশের বৈশাখ সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল। বেশ বড় গল্প। তাই তিনটে ছবি এঁকেছিলাম। এই ছবিগুলো এঁকে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।

মানিকদার শেষ গল্পটার কাজ যখন পাই, তখন মানিকদা আর নেই। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার পর হাসপাতালেরই খাটে শুয়ে অড্রে হেপবার্ন-এর হাত থেকে অস্কার পুরস্কার নিলেন সিনেমায় সারাজীবনের কাজের জন্য। ভারত এবং বাংলার সিনেমাকে এক অকল্পনীয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে মানিকদা চলে গেলেন। আমরা হারালাম এক শিক্ষাগুরুকে।

শেষ গল্পটার নাম ‘ব্রজবুড়ো’। বেশ বড় গল্প এবং দারুণ লেখা। ছাপা হয়েছিল সন্দেশ পূজাসংখ্যা ১৩৯৯ (১৯৯২) সালে। গল্পটার জন্য তিনটে ছবি এঁকেছিলাম। তিনটেই আমার খুব প্রিয় ছবি।

সন্দেশে ছবি আঁকা শুরু করেছিলাম টেকনিকাল পেন ও কালো কালি দিয়ে। পরে সাহস বাড়ার সাথে সাথে কালো রং, তুলি, কালো প্যাস্টেল এবং পেনসিল দিয়েও ছবি এঁকেছি। কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় মাধ্যম ছিল ছোট ছোট কালো লাইন দিয়ে জমাট কাজ করা। যেমন দেখেছি মানিকদার ‘বাদশাহী আংটি’, ‘হিপনোজেন’, ‘প্রফেসর শঙ্কু ও আশ্চর্য পুতুল’, ‘গোলক রহস্য’, ‘প্রফেসর শঙ্কু ও হাড়’ ইত্যাদি গল্পে। তাই মানিকদার গল্পের জন্য যখন ছবি এঁকেছি, তখন সরু ও মোটা, নানা ধরনের রোট্রিং কলমের সাহায্যেই এঁকেছি। সবসময়ে মনে রেখেছি ওঁর দশ বছর আগের উপদেশ, ‘আমার ছবি আঁকার স্টাইলে যেন আমার নিজস্বতা থাকে।’

এখনও সন্দেশে ছবি এঁকে যাচ্ছি। তার সঙ্গে অন্যান্য বইয়ের জন্যও ছবি আঁকি। তবে কেবলই মনে হয় যে, সন্দেশে ছবি আঁকার মধ্যে আমার যে শেখার ব্যপারটা ছিল সেটা মানিকদা না থাকায় শেষ হয়ে গেল।

কৃতজ্ঞতা: সন্দেশ, সন্দীপ রায়