Categories
রকমারিনগর |

হাতের লেখার সম্রাজ্ঞী

878 |
Share
| ৪ এপ্রিল, ২০২১
ঝিলমিল বসু

বিজ্ঞাপনকর্মী ও রেডিও উপস্থাপক

প্রকৃতি মাল্লা, চিত্র সৌজন্য: newsbugz.com

সাল ২০১৭। তখন সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন নতুন দিক খুলতে শুরু করেছে আমাদের জীবনে। দৈনন্দিন জীবনের অনেক না-বলা কথা প্রকাশ পাচ্ছে ফেসবুকে। অনেক অজানা বিষয় জানতে শুরু করছে মানুষ। জানছে, জানার সঙ্গে সঙ্গে বিস্মিতও হচ্ছে। এরকমই একটা ফেসবুক পোস্ট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। নেপালের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী প্রকৃতি মাল্লার হাতের লেখার ছবি তুলে পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। ছবির মতো এই হাতের লেখা দেখে বিস্মিত ও মুগ্ধ হয় গোটা নেট দুনিয়া। শেয়ার আর কমেন্টের মাধ্যমে প্রশংসার ঝড় ওঠে ফেসবুকে। বিশ্বজুড়ে নাম ছড়িয়ে পড়ে অনবদ্য হাতের লেখার অধিকারী প্রকৃতি মাল্লার। বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজ পড়ে যায় তার। প্রকৃতি মাল্লার হাতের লেখা হয়ে ওঠে বিশ্বের সেরা হাতের লেখার মধ্যে অন্যতম।

নেপালের ভক্তপুরের বাসিন্দা প্রকৃতি তখন সৈনিক আওয়াসিয়া মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী। অষ্টম শ্রেণীর প্রকৃতির হাতের লেখা দেখলে মনে হয় কম্পিউটারের কোনও ফন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃতির হাতের লেখা প্রায় নিখুঁতের কাছাকাছি। তার লেখা প্রতিটা শব্দের মধ্যেকার ব্যবধান প্রায় সমান। নেপাল সরকার দ্বারা আয়োজিত হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় সবথেকে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারীর খেতাবও জিতে নেয় প্রকৃতি। নেপাল সরকারের তরফ থেকে প্রকৃতি মাল্লার স্বাক্ষরকে নেপালের সবথেকে সুন্দর স্বাক্ষরের তকমাও দেওয়া হয়। খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে গুজবও। শোনা যায়, প্রকৃতির এই নিখুঁত হাতের লেখার রহস্য হল ওর অধ্যবসায় – রোজ নাকি সে নিয়ম করে দু’ঘন্টা করে হাতের লেখা অভ্যাস করে। সত্যি হোক বা গুজব, কোনও ভাল অভ্যাসের ফলে যদি এইরকম কৃতিত্ব অর্জন করা যায়, তাহলে এমন অভ্যাস করতে ক্ষতি কী!

ঋণ: etvbd.com; www.wikimylinks.com; the emerging india