Categories
অদ্ভুতপুর |

যে বেড়াল ডোবে নি

424 |
Share
| ১ জুলাই, ২০২১
শুচিস্মিতা সান‍্যাল

চিত্র: (বাঁদিকে) বিসমার্ক যুদ্ধ-জাহাজের ছবি; পরের ছবিটি নিশ্চিতভাবে স্যামের ছবি কিনা বলা যায় না। তবে অনেকেই এটিকে স্যামের ছবি বলে ধরে থাকেন। চিত্র সৌজন্য: Wikipedia, historycollection.com

এই ছবিটি দেখুন। এই বেড়ালটি পৃথিবীতে বিখ‍্যাত ‘আনসিনকেবল স‍্যাম’ (Unsinkable Sam) নামে। কিন্তু কেন তাঁর এই নাম? 

সময়টা ১৯৪১। চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানির যুদ্ধ-জাহাজ বিসমার্কের এক যোদ্ধার পোষা বেড়াল ছিলেন ইনি। এঁর আসল নাম জানা যায় না। এর মালিকের নামও জানা যায় না। ২৭ মে, ১৯৪১-এ একটি বিরাট নৌ-যুদ্ধ ঘটে ইংরেজ ও জার্মানদের ভেতর। জার্মানদের জাহাজ বিসমার্ককে গুঁড়িয়ে দেয় ব্রিটিশ জাহাজ, HMS Cossak। ভাঙা জাহাজ থেকে যারা ছিটকে পড়েছিল, তাদের মধ‍্যে ছিল এই বেড়ালটি। তাঁকে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়। তাঁকে জল থেকে তুলে আনে ব্রিটিশ সেনা এবং তাঁর নাম দেওয়া হয়― অস্কার। 

এরপর কস‍্যাক জাহাজেই থাকত বেড়ালটি। কিন্তু ওই বছরই ২৪ অক্টোবর, কস‍্যাককে উড়িয়ে দিল জার্মান সাবমেরিন U-563। কিন্তু এখানেও ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে বেঁচে যান অস্কার। তাঁর নামকরণ করা হয় ‘Unsinkable Sam’ (আনসিনকেবল স‍্যাম)। তিনি একটি কাঠের টুকরোর ওপর বসেছিলেন সমুদ্রের বুকে। 

এরপর স‍্যামের জায়গা হয় ইংরেজদের HMS Ark Royal এ। কিন্তু এ যাত্রাতেও ওই জাহাজটি নভেম্বর মাসে জার্মান সাবমেরিন দ্বারা আক্রান্ত হয়। কিন্তু সেখানেও আশ্চর্যভাবে বেঁচে যান স‍্যাম। এরপর স‍্যাম আর কোনও জাহাজে চড়েন নি। তিনি ১৯৫৫ সাল অবধি বহাল তবিয়তে ছিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। 

অনেকে অবশ‍্য বলেছেন যে এটি একটি সামুদ্রিক গল্প। এর সত‍্যতা প্রতিষ্ঠা করা নাকি শক্ত। তবে হঠাৎ মহাযুদ্ধের মধ‍্যে যোদ্ধারা একটা বেড়াল নিয়ে কেন গল্প বানাবেন, সেটাও ভাবার মতো বিষয়। কোথাও কিছু না ঘটে থাকলে, এমন গল্পও কি তৈরি হতে পারে? 

ঋণ: Wikipedia, zmescience.com