Categories
কাব্যছড়াগঞ্জ |

তাকুড় নাকুড় পাকুড়তলে

454 |
Share
| ১৮ অক্টোবর, ২০২১
সুমন ঘোষ

চিত্র: সৌম্যেন সরকার

গাঁয়ের ধারে পাকুড়তলা
তাকুড় নাকুড় দুপুর
সূয্যি ওঠে সূয্যি ডোবে
বৃষ্টি টাপুর টুপুর!

টাপুর বলে, মেঘের পাহাড়
টুপুর বলে, তরী
ওরা দুজন গাইতে এলে
রোদের হাতেখড়ি

অ লিখেছে আলতো করে
ঘাসের ওপর খাতা
খাতার গায়ে স্কুলের জামা
ঘুমন্ত, হাফ হাতা

জামার গায়ে অনেক ফুটো
ইস্তিরি নেই মোটে
এই জামাটাই সন্ধে সকাল
ধান কুড়োতে ছোটে!

কারণ এখন ইস্কুল-ই নেই
পড়াশুনোয় তালা
সারাটাদিন চু-কিত-কিত
উড়ন্ত আটচালা

সারাটাদিন মায়ের ধমক–
মুনিষ খাটো কারও
বাবা বলছে, অল্পবয়েস
এখন ওসব ছাড়ো!

আর ক’টা দিন দেখই না হয়
অসুখ যদি পালায়
আবার যদি নতুন করে
স্কুলের ঘরে তালাই

তালাই তালাই আলাইবাবু
টুনটুনি আর শেয়াল
ঋক ও রেহান গান শোনাবে
নাচের ক্লাসে শ্রেয়া

নতুন করে কিচিরমিচির
নতুন ঝিকিমিকি
টাপুর যদি কুলের আচার
টুপুর তবে কী কী

কাও-এ আবার খাইল রে ধান
খেদান দেবে কারা
স্কুলের মাঠে সুভাষস্যারের
সুরের প্রতিভারা

আবার কবে উড়াল দেবে
ঝিকিরমিকির দুপুর
হাই তুলে নেয় হাঁসের ছেলে
অলস কলস পুকুর!

এসব বুঝি আবার হবে
আবার হবে পরী?
মেঘের গায়ে মেঘের বাড়ি
জলদর্চি। তড়িৎ।

তাকুড় নাকুড় পাকুড়তলে
ড্যাডাং ড্যাডাং ঢাকে
স্কুলের বাড়ি চমকে ওঠে
জলদ মেঘের ডাকে!