Categories
পুরাণপাড়া |

বাণিজ্যের পুঁজি

398 |
Share
| ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

চিত্র: জাতকের ছবি- British Library

অনেক দিন আগের কথা। একজন শ্রেষ্ঠী বণিক ছিল। ধনে মানে কূলে শীলে সে শ্রেষ্ঠ ছিল ব’লে তার পরিচয় ছিল শ্রেষ্ঠী। সেই শ্রেষ্ঠীর অকস্মাৎ মৃত্যু হল। তার স্ত্রীকে তাড়াতে পারলে শ্রেষ্ঠীর সমস্ত সম্পত্তি তার জ্ঞাতিদের হ’তে পারে, এই লোভের বশবর্ত্তী হয়ে ওর জ্ঞাতিরা সেই শ্রেষ্ঠীর বিধবা স্ত্রীকে তার স্বামীর গৃহ থেকে তাড়িয়ে দিল। অবলা নিঃসহায়া স্ত্রীলোকটি ধূর্ত কুটিল জ্ঞাতিদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারল না।

কোথায় যাবে, কী করিবে, স্থির করতে না পেরে সে চোখে অন্ধকার দেখতে লাগল। বিপদে প’ড়ে ভয়ে দুঃখে বিহ্বল হয়ে সে পথ চলিতে লাগল। পথের মধ্যে তার এক পুত্র জন্মাল। পথে জন্ম হল ব’লে সেই রমণী তার পুত্রের নাম রাখল পন্থক। সে শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে তার স্বামীর এক বন্ধু কুমারদত্তের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হল এবং নিজের পরিচয় না দিয়ে তার স্বামীর বন্ধুর গৃহে দাসীর কাজ গ্রহণ করল।

দাসীর কাজের কঠিন পরিশ্রম করে সে নিজের পুত্রকে লালনপালন করিতে লাগিল। পন্থক একটু বড় হ’লে তার মা পুত্রের বিদ্যাশিক্ষার ব্যবস্থা করবার জন্য চিন্তিত হল। পন্থক ভদ্রলোকের সন্তান। অবস্থার ফেরে পড়িয়া তার মা’কে দাসীবৃত্তি করিতে হচ্ছে বটে, কিন্তু সে তো তার পুত্রকে মূর্খ করে রাখতে পারে না। সে কষ্টকর দাসীকর্মের সামান্য উপার্জন থেকে অর্থ সঞ্চয় করিতে লাগিল— পুত্র বড় হলে তাকে লেখাপড়া শেখাতে হবে।

লেখাপড়া শেখবার বয়স হ’লে পন্থকের মাতা এক গুরুমহাশয়ের কাছে পুত্রকে বিদ্যাশিক্ষা করতে নিযুক্ত করল। পন্থক শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠীকুলের সন্তান, তার বুদ্ধি মেধা তীক্ষ্ণ ছিল, সে অল্পদিনের মধ্যেই লিখতে পড়তে ও অঙ্ক কষে হিসাব রাখতে শিখে ফেলল।

একদিন পন্থকের মা তাহার পুত্রকে বলল— ‘তুমি বণিকের ছেলে। ব্যবসায়-বাণিজ্য করতে পারার মতন বিদ্যা তুমি অর্জন করেছ। এই নগরে বিশাখিল নামে একজন মহাজন শ্রেষ্ঠী আছেন, তিনি মহাধনশালী এবং দয়ালু। তিনি সৎকুলজাত অথচ দরিদ্র বণিকদের মূলধন সাহায্য ক’রে বাণিজ্যে প্রবৃত্ত হবার সুবিধা ক’রে দেন। তুমি তাঁর কাছে গিয়ে কিছু মূলধন প্রার্থনা কর এবং তাহা নিয়ে ব্যবসা করিতে আরম্ভ কর। কোথাও কারও কাছে চাকরি কোরো না; চাকর হওয়ার যে কত কষ্ট ও কত লাঞ্ছনা, তা তো আমাকে দেখেই বুঝতে পারছ।’

পন্থক মায়ের আদেশে বিশাখিলের কাছে বাণিজ্যের পুঁজি কিছু টাকা প্রার্থনা করবার জন্য যাত্রা করল। পন্থক যখন বিশাখিলের বাড়িতে তাঁর কাছে গিয়ে উপস্থিত হ’ল, তখন শুনল বিশাখিল ক্রুদ্ধ স্বরে কোনও বণিক যুবককে ভর্ৎসনা করিয়া বলিতেছেন— ‘তোমাকে আমি কত বার টাকা দিলাম, কিন্তু তুমি এমনই অপদার্থ যে, সেই মূলধন বৃদ্ধি করা দূরে থাকুক বারংবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে এসে পুনরায় আমার সাহায্য প্রার্থনা করছ। এত টাকা জলে দিয়ে তুমি আবার আমার কাছে অর্থ প্রার্থনা করতে এসেছ! তোমার মুখ দেখাতে লজ্জা হয় না। এত টাকা বারংবার নিয়েও তুমি কিছু করিতে পারলে না। কিন্তু যে লোক বুদ্ধিমান হিসাবী হয় সে এই যে ইঁদুরটা ম’রে প’ড়ে রয়েছে ওকেই মূলধন করে মহাধনবান হয়ে উঠতে পারে।’

ক্রুদ্ধ বিশাখিলের এই কথা শোনামাত্র পন্থক তাড়াতাড়ি সেই মরা ইঁদুরটাকে হাতে তুলে বিশাখিলকে প্রণাম করল এবং বলল— আমি আপনার কাছ থেকে বাণিজ্যের মূলধনস্বরূপ এই মরা ইঁদুরটিকে ঋণ হিসেবে গ্রহণ করছি। আপনি এটিকে আমাকে ঋণস্বরূপ দান করুন।

যুবক পন্থকের বাক্য শুনিয়া বিশাখিল হাস্য করলেন এবং তার প্রস্তাবে কোনও আপত্তি না ক’রে তাকে সেই মরা ইঁদুরটি ঋণ দিলেন। পন্থক ঋণের দলিল তমসুক লিখে দিয়ে ইঁদুরটিকে নিয়ে চ’লে এল।

এক দোকানদার তার দোকানে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে এক বিড়াল পুষেছিল। সে বিড়াল দোকানের সব ইঁদুর বধ ক’রে দোকানটিকে রক্ষা করেছিল। এখন আর দোকানে একটিও ইঁদুর নেই; বিড়াল এখন খায় কি? দোকানদার বিড়ালের খাবার জন্য কোথাও একটা ইঁদুর খুঁজছিল। এমন সময়ে সে দেখল, পন্থক একটা মরা ইঁদুর হাতে করে সে পথ দিয়ে যাচ্ছে। সে পন্থককে ডেকে জিজ্ঞাসা করিল— ‘ওহে ছোকরা, তোমার হাতের মরা ইঁদুরটা আমাকে দাও না, আমি তোমাকে গুড়-ছোলা জল খেতে দেব।’ পন্থক গুড়-ছোলার বদলে সেই মরা ইঁদুরটা দোকানদারকে দিল।

তার পরে পন্থক সেই গুড়-ছোলা নিজে খেয়ে ফেলল না। সে তা নিয়ে নগরের বাইরে যে-পথ বনের দিকে গিয়েছে সেই পথের ধারে এক গাছের ছায়ায় গিয়ে বসল। সেই পথে অনেক কাঠুরিয়া প্রত্যহ বনে কাঠ কাটতে যায়, অনেক ঘেসেড়া ঘাস কাটিতে যায়, অনেক মালী বনে ফুল তুলতে যায়। পন্থক গুড়-ছোলা আর জল লইয়া বসিয়া আছে দেখিয়া শ্রান্ত-ক্লান্ত কাঠুরিয়া, ঘেসেড়া আর মালীরা তার কাছে এসে গুড়-ছোলা খেয়ে জলপান করল, এবং তাদের নিজেদের বোঝা থেকে প্রত্যেক কাঠুরিয়া দু’খানি করিয়া কাঠের চেলা, প্রত্যেক ঘেসেড়া এক এক আঁটি ঘাস আর প্রত্যেক মালী কতগুলো করে ফুল পন্থককে মূল্যস্বরূপ উপহার দিয়ে গেল।
পন্থক সেই কাঠ, ঘাস আর ফুল এনে নগরে বিক্রয় করে এবং তাতে যে পয়সা পেল তা দিয়ে সে দোকানদারের দোকান থেকে গুড়-ছোলা ক্রয় করল এবং তার পরদিনও আবার পূর্বের মতো পথপার্শ্বে জলসত্র খুলে বসল।

একদিন কাঠুরিয়া, ঘেসেড়া ও মালীরা অধিক পরিমাণে গুড়-ছোলা খেতে পেল বলে পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট হয়ে পন্থককে অধিক কাঠ, ঘাস ও ফুল দিল এবং মালীরা কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছও উপহার দিল।

এই কাঠ, ঘাস, ফুল আর ফুল-গাছ বেচে সেদিন পন্থক এক টাকা পুঁজি করল।

এর পরের দিন নগরে অত্যন্ত ঝড়বৃষ্টি হল। রাজার বাগানে অনেক গাছের শুকনো ও কাঁচা ডাল ভেঙে পড়ল। মালী বেচারা কেমন ক’রে এত আবর্জনা একা সরাবে এটা চিন্তা করছিল। পন্থক তার কাছে গিয়ে তাকে বলল— যদি তুমি আমাকে এই সমস্ত বিনামূল্যে নিয়ে যেতে দাও, তা হলে আমি তোমার বাগান পরিষ্কার করে দিতে পারি।

মালী তৎক্ষণাৎ এই প্রস্তাবে সম্মত হল।

তখন পন্থক যেখানে ছেলেরা খেলা করছিল সেখানে গেল এবং ছেলেদের বলল— তোমরা এখানে এ কী বাজে পচা খেলা করছ? আমার সঙ্গে তোমরা এসো, আজ রাজার বাগান সাফ করার খেলা করা যাক। আর সেই খেলার পরে আমি তোমাদের গুড়-ছোলা দিয়ে জল খাওয়াব।

ছেলেদের কাছে তিনটি প্রলোভন এসে উপস্থিত হল— নূতন খেলা। রাজার বাগানে তারা কখনও প্রবেশ করতে পারে না, সেখানে প্রবেশের সুযোগ; তার ওপর আবার গুড়-ছোলা খাওয়া! তারা মহা-উল্লাসে কলরব ক’রে তখনই পন্থকের অনুসরণ করল।

অনেক ছেলের সাহায্যে রাজার বাগান সত্বর পরিষ্কার হয়ে গেল এবং অল্প খরচে পন্থকের অনেক কাঠ লাভ হল।

সেদিন তো কোনও কাঠুরিয়া বনে যেতে পারে নি। নগরে কাঠের অনটন হল। এক কুম্ভকার ষোল টাকা আর কয়েকটা হাঁড়ির বিনিময়ে পন্থকের সব কাঠ কিনে নিল।

পন্থক প্রত্যহ গুড়-ছোলা ও জল নিয়ে নগরের বাহিরে পথিকদের পিপাসা ও ক্ষুধা শান্তি করতে লাগল। সকলে তার ওপর অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে উঠল। তারা পন্থকের মিষ্ট ব্যবহারে তুষ্ট হয়ে তাকে প্রত্যহ বলতে লাগল— আপনি আমাদের এত উপকার করছেন, বলুন, আপনাকে কী করে সাহায্য করিতে পারি?

পন্থক বলল— এর জন্য তোমরা এত ব্যস্ত হচ্ছ কেন? আমি আর তোমাদের কী উপকার করছি? তোমরা তো মূল্য দিয়া দ্রব্য ক্রয় করছ। কিন্তু ঘেসেড়ারা পন্থককে সাহায্য করতে নিতান্ত আগ্রহ প্রকাশ করতে লাগল। তখন পন্থক বলল— আচ্ছা, যদি তোমরা আমাকে সাহায্য করবেই, তবে আমি আবশ্যক হ’লে জানাব।

এই সময়ে পন্থকের সঙ্গে দু’জন বণিকের বন্ধুত্ব হল, তাদের একজন স্থলপথে ও অপরজন জলপথে বাণিজ্য করে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে।
একদিন স্থলপথের-বণিক পন্থককে সংবাদ দিল— ভাই পন্থক, কাল একজন অশ্ববিক্রেতা পাঁচশো অশ্ব নিয়ে এই নগরে আসিবে।

এই সংবাদ পেয়ে পন্থক সেই ঘেসেড়াদের বলল— ভাই, কাল তোমরা প্রত্যেকে আমাকে এক এক আঁটি করিয়া ঘাস উপহার দিবে, আর আমার সেই ঘাস সব বিক্রয় হয়ে না গেলে তোমরা তোমাদের ঘাস বিক্রয় কোরো না।

ঘেসেড়ারা তাতেই সম্মত হল।

অশ্ববণিক তাহার ঘোড়া নিয়ে নগরে এল। সে আর কোথাও ঘাস না পেয়ে অধিক মূল্য দিয়ে পন্থকের সব ঘাস কিনে নিল। এতে পন্থকের হাজার টাকা লাভ হল।
এর কয়েকদিন পরে পন্থক তার বন্ধু জলপথ-বণিকের কাছে শুনল যে, বন্দরে একখানি জাহাজ মাল নিয়ে আসছে। তখন সে একটুও বিলম্ব না ক’রে একখানা গাড়ি ভাড়া করল এবং সেই বন্দরে গিয়ে উপস্থিত হল। সে এতদিনে যে পুঁজি জমা করেছিল, তা দিয়ে সে একটা বড় তাঁবু আর অনেক চাকর ভাড়া করল। চাকরদের জন্য খুব ভাল ভাল দামী ও জমকালো উর্দি ভাড়া করে এনে ওদের পরতে দিল। সেই-সব চাকর সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে সে জাহাজের বণিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল। সেই বণিক পন্থকের ভৃত্যদের জমকালো দামী পোষাক দেখে অনুমান করল পন্থক নিশ্চয় মহাধনী মহাশ্রেষ্ঠী হবে। পন্থক জাহাজের সমস্ত পণ্য একা ক্রয় করবে শুনে বণিকের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হল। পন্থক তার পুঁজির হাজার টাকা বায়না দিয়ে সব পণ্যদ্রব্যে নিজের নামাঙ্কিত শীলমোহর করে দিল, যাতে অপর কোনও বণিক এসে সেই মালের কোনও অংশ ক্রয় করতে না পারে।

পন্থক নিজের শিবিরে ফিরে এসে তার ভৃত্যদের বলে রাখল যে, কোনও লোক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে, সেই ব্যক্তি তাঁবুর এক এক ঘর পার হয়ে শেষের ঘরে তার কাছে যখন আসবে, তখন এক এক ঘরে এক একজন ভৃত্য যেন তার সঙ্গে সঙ্গে আসে এবং একে একে তিন জন আরদালি একত্র হয়ে তাকে সঙ্গে করে তার কাছে নিয়ে আসবে।

বন্দরে বড় জাহাজ এসেছে সংবাদ পেয়ে নগরের যত বণিক যখন পণ্য কিনবে বলে বন্দরে এল, তখন তারা শুনল যে একজন কোনও মহাশ্রেষ্ঠী সমস্ত পণ্য বায়না করে নিজের নামে নামাঙ্কিত ক’রে রেখেছেন।

তাহারা অনুসন্ধান ক’রে পন্থকের শিবিরে এসে উপস্থিত হল। পন্থকের শিবিরের ঘটা, সাজসজ্জা, ঐশ্বর্য এবং আরদালি, চোপদার, ভৃত্য প্রভৃতির ছড়াছড়ি দেখে তারা মনে করল এই মহাশ্রেষ্ঠী নিশ্চয়ই অতুল ঐশ্বর্যের অধীশ্বর। তারা একে একে সকলে পন্থকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল এবং পণ্যের এক এক অংশের জন্য এক এক হাজার টাকা লাভ দিতে স্বীকার করল।

এই রূপে পন্থক সমস্ত পণ্য ওই সকল বণিককে বিক্রয় করে বিনাব্যয়ে বা অতি অল্পব্যয়ে দু’লক্ষ টাকা লাভ করল এবং সেই টাকা নগদ নিয়ে সে নগরে নিজের মায়ের কাছে ফিরে গেল।

পন্থক ধনবান হয়ে প্রথমেই মাকে দাসীত্ব থেকে মুক্ত করে সসম্মানে ও সমাদরে নিজের নতুন গৃহে নিয়ে এল। কিন্তু সে তার শিক্ষাদাতা ও বাণিজ্যের মূলধন-দাতা মহাজন বিশাখিলকে ভুলে নাই। সে বাণিজ্য ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন ক’রে তার কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরূপ একটা সোনার ইঁদুর গঠন করাল এবং সেইটিকে হাতে করে আগের মতো অতি দীন ও বিনীতভাবে বিশাখিলের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হল।

বিশাখিল তার হাতে সোনার ইঁদুর দেখে আশ্চর্য হয়ে ‘ব্যাপার কী’ জিজ্ঞাসা করলেন। তখন পন্থক তার পূর্ববৃত্তান্ত বলে বিশাখিলকে তাঁর উপদেশ ও সাহায্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিল।

বিশাখিল পন্থকের বাণিজ্য-কৌশল, ব্যবসায়ে পটুতা ও তার ঋণ-স্বীকারের সততা দেখে অত্যন্ত আশ্চর্য ও সন্তুষ্ট হলেন। তিনি পন্থকের সেই সুবর্ণ ইঁদুরটিকে পন্থকের কৃতিত্বের পরিচায়ক-চিহ্ন ব’লে সমাদর করে গ্রহণ করলেন এবং তাকে ঋণমুক্ত করে তার দলিল তমসুক তাকে ফেরত দিলেন এবং তার পরে নিজের কন্যার সঙ্গে পন্থকের বিবাহ দিয়ে তাকে পুরষ্কৃত করলেন।

অর্থের দ্বারা সঞ্চয়শীল ব্যক্তি অর্থশালী হইয়া থাকে, তাতে কোনও আশ্চর্য হবার কারণ নেই; কিন্তু অর্থ বিনা, কেবল কৌশল, উদ্যম ও বুদ্ধির বলে পন্থক যে ধন অর্জন করেছিল, এর জন্য সে বিশাখিলের পরম প্রীতিভাজন হয়ে পরম সুখে জীবন-যাপন করতে লাগল। আর সবার চেয়ে সুখী হলেন পন্থকের মা পুত্রকে সুখী দেখে।

ঋণ: শিশুভারতী, [এই গল্পটি সংস্কৃত ‘কথা-সরিৎসাগর’ নামক গ্রন্থে ও পালি ‘জাতকে’ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বর্ণিত আছে।]