Categories
পুজোর খাতা ২০২৪ |

সেদিন সন্ধ্যেবেলা

156 |
Share
| ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
কেয়া চট্টোপাধ্যায়

চিত্রবিন্যাস/ কমলাকান্ত পাকড়াশী

আমাদের পাড়ার ক্লাবে সন্ধ্যেবেলা আড্ডা বসাটা বহুদিনের অভ্যেস। পাড়ার কয়েকজন মক্কেল গোছের কাকু, জেঠু এই আড্ডার মাথা। অনেক ধরনের গল্প হত সেখানে। ছোট থেকে বড় সকলের সেখানে অবাধ যাতায়াতের অধিকার ছিল। কেউ বলতো ঘুরতে যাওয়ার গল্প, কেউ বলতো নিজের কোনও অভিজ্ঞতার গল্প, কেউ বা নিজের মজার কাণ্ড কারখানার ঝাঁপি খুলে বসতো। আমরা অবাক হয়ে শুনতাম সেসব। পড়াশোনা আর খেলার শেষে এই এক দেড় ঘণ্টার জন্য মুখিয়ে থাকতাম আমরা সকলে। খেলার মাঠের মনোমালিন্য নিমেষে উধাও হয়ে যেত ক্লাব ঘরে এসে। সমস্ত গল্পবাজ কাকুদের মধ্যে নিমাই কাকু ছিলেন বেশ আমুদে ও রসিক মেজাজের মানুষ। তাঁর ঝুলিতে সব থেকে বেশি গল্প জমে থাকত। পাড়ার এই সান্ধ্যকালীন আড্ডার বুদ্ধিটা আসলে নিমাই কাকুরই। অবশ্য তার সব গল্প যে সত্যি তা নয়। বোঝাই যেত কিছু কিছু গল্প আষাঢ়ে। তবুও কাকুর বলার ধরণ আমাদের চুম্বকের মতো আকর্ষণ করত।

এমনি এক সন্ধ্যেবেলা ক্লাব ঘরের ঘেরাটোপে যেই না এসে বসেছি ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি। সবাই উপস্থিত থাকলেও নিমাই কাকু তখনও আসেনি। আমরা ভাবলাম বৃষ্টিতে আটকে পড়েছে হয়তো। টুকটাক আলোচনা, গল্প চলতে লাগল। আর বৃষ্টি একটু ধরতেই ক্লাব ঘরের দরজায় টকটক শব্দ পেয়ে আমি দৌড়ে গিয়ে খুলে দিলাম দরজাটা। দেখলাম ছাতা মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কাকু। দৃষ্টি উপর দিকে। আমি বললাম, ‘ও কাকু, কী দেখছ উপরে?’ কাকু মাথা নামালেন। আমার কেন জানি না মনে হল কাকুর চোখ দুটো অন্যরকম লাগল। এরকম নিষ্প্রাণ চোখ তো কখনও দেখিনি মানুষটার? কাকু বললেন, ‘দেখছিলাম, বাদুড় উড়ছে। সবাই চলে এসেছে বুঝি? আমিই দেরি করলাম। চল ভেতরে গিয়ে বসি। আজ একটা ভূতের গল্প বলব।’ কথাগুলো বলতে বলতেই ঘরে প্রবেশ করলেন নিমাই কাকু। কাকুকে দেখে সবাই হৈহৈ করে উঠল। কাকু নিজের চেয়ারে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে পা মুড়ে বসে বলল, ‘এহ! এরকম ওয়েদারে শুকনো মুখে গল্প হয় নাকি? এই ভজা যা তো পাশের দোকানে চা আর চপের অর্ডার দিয়ে আয়।’ ভজা মানে আমাদের ভুজঙ্গদা আমাদের দলের মধ্যে বয়সে বড় হলেও বুদ্ধিতে ছোট। তাই আমাদের ও বড়দের ফাইফরমায়েস খাটতে হয় তাকে। যাইহোক, ভজাদা পাশের দোকানে ছাতা মাথায় ছুটে গেল আর কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন লোককে জুটিয়ে নিয়ে এল গরম গরম চা আর আলুর চপ। এবার নিমাই কাকুর গল্প শুরু হল। আমরা জমিয়ে বসলাম।

‘তোরা তো জানিস আমার এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানোর একটা রোগ আছে। ব্যাঙ্কের চাকরিতে এতই গেরো যে সহজে ছুটি পাওয়া যেত না। তবুও কোনওমতে ম্যানেজ করে ফেলতাম। তা, এমন এক ছুটির মরশুমে পৌঁছে গেলাম পাহাড়ি গ্রাম তিঞ্চুলে। ঘোরা ফেরা তো নিমিত্তমাত্র। আসল উদ্দেশ্য ছবি তোলা। আমাদের সময় তো এইসব ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল না। ফ্ল্যাশ ক্যামেরা নিয়েই বাজিমাত করতে হত। আমাদের চারজনের দল। আমি, প্রশান্ত, অতনু আর কৌশিক। স্কুল জীবন থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। প্রত্যেকেই নিজের নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত। ট্রেন থেকে নেমে একটা গাড়ি ভাড়া করে চার ঘণ্টার পথ পেরিয়ে চলে এলাম তিঞ্চুলে। যে সময়ের কথা বলছি তখন জায়গাটা এতটা ফেমাস হয়নি। এখন দেখি অনেকেই ঘুরতে যায়। কৌশিক আগে থেকেই একটা বাড়িতে বলে কয়ে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছিল। এখানে থেকেই আমরা ট্রেকিং করে বিভিন্ন জায়গায় যাব আর ছবি তুলব। আমরা যার বাড়িতে উঠেছিলাম সেই মঞ্জিল গুরুং আমাদের থাকা খাওয়ার সমস্ত সুব্যবস্থা করে চলে গেল শহরে। ওর ঠিক করে দেওয়া নেপালি মহিলাই আমাদের দেখাশোনা করবেন।
সন্ধ্যেবেলা চিকেন পকোড়া আর চা খেতে খেতে প্রশান্ত বলে উঠল, “যাই বল, জায়গাটা কিন্তু দারুন। মনে হচ্ছে যেন হন্টেড প্লেসে চলে এসেছি। এক দু’পিস ভূতটুত যদি পাওয়া যায় মন্দ হয় না।”
আমরাও একটা অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পেলাম।
অতনু বলল, “তাহলে চল একটু বাইরে বেরিয়ে দেখা যাক। যদি কোনরকম আজব ঘটনা চাক্ষুষ হয়।”
কথা হচ্ছিল রান্নাঘরের লাগোয়া ঘরে বসেই।
আমাদের আলোচনা কানে গেল নেপালি ভদ্রমহিলার।
উনি হেসে হিন্দিতে বললেন, “এই পাহাড়ি এলাকায় অনেক অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায় বাবুজি। ওদের নাড়াচাড়া করতে যাবেন না। খুব বিপদ হবে।”
বুঝলাম উনি বাংলা বলতে না পারলেও বুঝতে পারেন। আমরা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম। একটা রিনরিনে উত্তেজনা সকলের চোখে মুখেই ছেয়ে গেছে। ঠিক এই মুহূর্তে ঝপ করে অন্ধকার নামল চারিদিকে। লোড শেডিং। আমরা যেন হাতে চাঁদ পেলাম। মহিলা জানালেন কখন আলো আসবে বলা যাচ্ছে না। সদ্য এই এলাকায় ইলেকট্রিক লাইন এসেছে। কাজ চলছে এখনও। আমরা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলাম বাইরে। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ জ্বলজ্বল করছে।
প্রশান্ত বলল, “প্ল্যানচেট করলে কেমন হয়?” সকলের প্রস্তাবটা পছন্দ হলেও আমার হল না।
বললাম, “না হে, ওসবে আবার মিডিয়ামের প্রয়োজন। ভুলভাল কিছু হলে বিপদ হবে।”
“তাহলে কী করব? এরকম একটা সুযোগ হাতে পেয়ে ছেড়ে দেব?” বলল অতনু।
আমি বললাম, “চল না একটু আশপাশটা আগে ঘুরে দেখি।”
“এই অন্ধকারে!” সকলে প্রায় সমস্বরে বলে উঠল। আমিও বুঝলাম অচেনা জায়গায়, বিশেষত এরকম জঙ্গুলে প্রান্তরে ভূত প্রেতের থেকেও সাপ-খোপের উপদ্রব বেশি। একবার যদি ছোবল দেয়, ভূত দেখতে গিয়ে নিজেই ভূত হয়ে যাব। অতএব বাইরে ঘোরাঘুরির প্রস্তাব নাকচ করে বাড়ির বারান্দায় বসেই গল্প শুরু করলাম। রাতের মেনুতে মুরগির ঝোল আর পরোটা। দুপুরের আহারের পরেই বুঝেছি ভদ্রমহিলা অমৃত রাঁধেন। তাই তাড়াতাড়ি খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে কাল আমাদের কর্তব্যগুলো একে একে ঠিক করে নিচ্ছি। আলো নেই বলে ম্যাপ খুলে আলোচনা করার উপায় নেই। সবটাই মৌখিক। এমন সময় দেখলাম দূরে অন্ধকারে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে।

মোমবাতির মৃদু আলোয় বুঝতে পারলাম ওই দিকের পথ ধরেই আমরা সকালে এসেছিলাম। মেন রাস্তায় গাড়ি আমাদের নামিয়ে দিয়েছিল। লাগেজ নিয়ে এই রাস্তাটুকু হেঁটে আসতে হয়েছে।
আমি সকলের দৃষ্টি সেদিকে আকর্ষণ করে কৌশিককে জিজ্ঞাসা করলাম, “আমরা ছাড়া আরও কারুর আসার কথা ছিল নাকি রে?”
কৌশিক অবাক হয়ে বলল, “কই না তো। মঞ্জিল তো আমায় কিছু বলেনি।”
দেখলাম ছায়া মূর্তিটি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। স্বল্প আলোয় স্পষ্ট হল দৃষ্টিপথ। দেখে মনে হল লোকটি আমাদের মতোই বাঙালি। অন্ধকারের জন্য নাকি লোকটির কোনও শারীরিক অসুবিধার জন্য তা বুঝলাম না, ওইটুকু পথ পেরোতে অনেকটা সময় নিলেন ভদ্রলোক।
কাছে আসতেই আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, “আপনি কি কাউকে খুঁজছেন?” লোকটি ধীরে ধীরে বারান্দায় পেতে রাখা আরেকটি চেয়ারে আয়েশ করে বসে বলল, “আজ্ঞে না। শুনলাম আপনারা নাকি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন?”
আমরা আকাশ থেকে পড়লাম। লোকটা বলে কী?
আমি হেসে বললাম, “তা আপনাকে এই সুসংবাদটি কে দিলেন শুনি?”
লোকটির হাসি চওড়া হল। মোমবাতির হলুদ আলোয় কেমন অদ্ভুত দেখাল সেই হাসি।
বললেন, “আমায় কেউ খবর দেয় না। খবর হাওয়ায় ভেসে আসে আমার কাছে।”
আমরা পরস্পরের দিকে তাকালাম। এতো মহা বিপদ হল! রাত বিরেতে পাগলের পাল্লায় পড়লাম নাকি। বললাম, “আপনি কে? ঠিক করে বলুন তো।”
লোকটি বলল, “আপনারাই তো কিছুক্ষণ আগে আমার সাথে দেখা করবেন বলে প্ল্যানচেটের প্ল্যান করছিলেন।” আমার বুকের ভেতর ধক করে উঠল। প্রশান্তর দিকে তাকালাম বিস্মিত হয়ে।
প্রশান্ত বিরক্ত হয়ে বলল, “আপনি যান মশাই। একে এই অন্ধকারে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। তার ওপর আপনি এলেন আবোলতাবোল বকতে।”
লোকটি হতাশ স্বরে বলল, “বিশ্বাস যখন হচ্ছে না কী আর করব বলুন? আসি তবে। আবার দেখা হবে।” লোকটি যেরকম স্লথ গতিতে এসেছিল আবার সেই একই গতিতে ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল অন্ধকারে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম। ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ ছাড়া অন্য কোনও শব্দ শোনা গেল না।
নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে আমিই প্রথম বলে উঠলাম, “লোকটা এত কিছু জানল কীভাবে বলতো?” অতনু বলল, “আরে ছাড় তো। চোর ছ্যাঁচোর হবে হয়তো। জানলার ধারে কাছে ছিল হয়তো। শুনতে পেয়েছে আমাদের কথা। এখন এসে এইসব চালাকি করছে।”
“কিন্তু চালাকি করে কী লাভ?” বললাম আমি।
“নিশ্চয়ই এসব বুজরুকি দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা আদায়ের ধান্দা করবে। অথবা হয়তো আরও বড় কিছু। খাবারে কিছু মিশিয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে আমাদের লাগেজ নিয়ে চম্পট দেবে।”
কথাগুলো যুক্তি সম্পন্নই মনে হল। আর তাছাড়া নেপালি মহিলাটিকে সন্দেহ করার কোনও উপায় নেই। কারণ আলোচনার সময় উনি আমাদের সাথে থাকলেও বাইরের কথাগুলো উনি শুনতে পাননি। আর তাছাড়া এই জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় কিভাবেই বা খবর পাঠাবে। টেলিফোনও তো নেই এখানে। ঘড়ির দিকে নজর পড়তে দেখলাম সাড়ে ন’টা বাজে। কাল ভোর চারটের সময় উঠতে হবে তাই সকলেই উঠে পড়লাম। দেখলাম রান্নার দিদিটিও হাজির হয়েছেন দরজার সামনে।
শান্ত ভাবে বললেন, “আসুন বাবুরা খাবার তৈরি আছে। জলদি খেয়ে নিন। এই ঠাণ্ডায় খাবার বেশিক্ষণ গরম থাকে না।” আমরাও সেটাই চাইছিলাম। হিমেল বাতাসের জোর বাড়ছে ক্রমশ।
ভেতরে এসে দেখলাম টেবিলে খাবার সাজানো হয়ে গেছে। পরোটা আর মুরগির ঝোল বাদেও ছিল স্যালাড আর মিষ্টি।
আমরা খুশি হয়ে বললাম, “খুব ভালো করেছ দিদি মিষ্টি রেখে। বাঙালি মানুষ শেষ পাতে মিষ্টি না হলে চলে!” দিদিটি মুখে কিছু বলল না।
বরং একটু অন্যরকমভাবে হেসে বলল, “বুঝি দাদা। আমিও তো বাঙালি।” খাবার আমাদের গলা থেকে নামার আগেই গলায় আটকে গেল। এ কার কণ্ঠস্বর? এখুনি যে লোকটিকে তাড়িয়ে দিলাম সেই লোকটিই কথা বলছে কিন্তু চেহারা আমাদের রান্নার দিদির। আমরা একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলাম সামনের দিকে। সে আবার বলে উঠল, “আমি কিন্তু শুধু মিষ্টিই এনেছি। বাকি সব রান্না উনি করেছেন।” রান্নার দিদি আঙুল তুলে পিছন দিকে নির্দেশ করলেন। আমরাও তার ইশারা অনুযায়ী ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি নিচের তলার বাথরুমের দরজা ঠেলে বেরিয়ে এসেছেন আমাদের আসল দিদি। সেও বাইরে এসে হতভম্ব হয়ে গেল। হয়তো নিজের প্রতিবিম্বকে আবছা দেখতে পেয়েছে।
হাওয়ায় ভেসে এলো কয়েকটি কথা, “আসল রূপে বিশ্বাস করাতে পারলাম না তাই ছদ্মবেশ নিতে হল। মিষ্টিগুলো খাবেন কিন্তু।” আমরা চেয়ে রইলাম একে অপরের দিকে। সকলের মুখ ফ্যাকাসে। ওদিকে আমাদের রান্নার দিদি “হায় রাম!” বলে মূর্ছা গেলেন।“

চুপ করল নিমাই কাকু।

ভজাদা বলল, ‘তারপর? কী করলে কাকু? ভূতের দেওয়া মিষ্টি খেলে?’ বলতে দ্বিধা নেই আমাদের মনেই সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল।
নিমাই কাকু উত্তর দেওয়ার আগেই দরজায় ঠকঠক শব্দে আমাদের চমক ভাঙল। দরজার সবথেকে কাছে থাকায় আমিই উঠে সেটি খুলে দিলাম।
দেখলাম বৃষ্টি ধরে এসেছে। চৌকাঠে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজা। নিমাই কাকুর বাড়িতেই ওদের পরিবার ভাড়া থাকে।
থমথমে মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘একবার যেতে হবে।’
বললাম, ‘কোথায়?’
‘আমাদের . . . মানে নিমাই কাকুর বাড়ি।’
‘কেন রে?’
‘একঘণ্টা আগে হার্ট অ্যাটাকে কাকু মারা গেছেন। ডাক্তার এসেছে।’
আমি বললাম, ‘ঘুম থেকে উঠলি নাকি নেশা করেছিস?’
আমার প্রশ্নে থতমত খেয়ে রাজা জিজ্ঞেস করল, ‘কেন? কী আজেবাজে বকছিস?’
‘আজেবাজে আমি বকছি না তুই? একঘণ্টা আগে যদি কাকু মারা যাবে তাহলে একঘণ্টা ধরে আমাদের সাথে গল্প করছিল কে?’
কথাটা বলে আমি পিছন ফিরে তাকালাম যেদিকে কাকু বসে আছে সেদিকে। কিন্তু ফিরেই বিস্ময়ের শেষ রইল না।
দেখলাম সকলেই তাকিয়ে আছে নিমাই কাকুর চেয়ারের দিকে।

আমাদের অলক্ষে কখন যে সেটি ফাঁকা হয়ে গেছে কেউ টের পায়নি।
সকলকে চমকে দিয়ে একটা বাদুড় চিৎকার করতে করতে আকাশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে উড়ে গেল।